ডিজিটাল মার্কেটিং কি ? কিভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখব ?
Digital marketing কি-এই দ্রুত অগ্রগতি হওয়া টেকনোলজির যুগে ডিজিটাল মার্কেটিং বা ইন্টারনেট মার্কেটিং একটি সফল ব্যবসায়িক মার্কেটিং কৈশল রূপে পরিচিতি পেয়েছে।
যুগের সঙ্গে বহু ব্যবসার উত্থান-পতন ঘটে। আজ প্রায় প্রত্যেক মানুষ ইন্টারনেটের সঙ্গে যুক্ত হয়ে গিয়েছে।এই ইন্টারনেটকে জুরে অনেক ব্যবসার আবির্ভাব হয়েছে যার মধ্যে এক ক্যাটাগরির ব্যাবসায়িক মডেলকে Digital marketing বলা হয়।বর্তমানে ইন্টারনেট ছাড়া কোন কিছুই করা সম্ভব নই,সবকিছু অনলাইনে ট্রান্সফার হয়ে গেছে। আর যেখানে ব্যবসা আছে সেখানে মার্কেটিং থাকবেই।এখন ছোট- বড় সব ধরণের বিসনেস এই ইন্টারনেট মার্কেটিং দ্বারা কাজ করে।
ডিজিটাল মার্কেটিং একটি বিশাল বড় টপিক যেটি একটি পোস্ট দ্বারা বোঝানো সম্ভব নয়। তবুও এই পোস্ট দ্বারা বেসিক জিনিস গুলো জানোর চেষ্টা করবো।
“ডিজিটাল মার্কেটিং কি“,“কিভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং এর ব্যবহার করবেন”,এই মার্কেটিং এর প্রকার ভেদ এবং”ডিজিটাল মার্কেটিং এর লাভ”গুলো আলোচনা করবো। তাহলে চলুন শুরু করা যাক-
পোস্ট সূচিপত্র:
- ব্যবসা খাতে মার্কেটিং
- ডিজিটাল মার্কেটিং কি(what is Digital Marketing in bangla)
- ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের সুবিধা-
- ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের প্রকারভেদ-
- ১.সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন
- ২.ওয়েবসাইট মার্কেটিং
- ৩.কন্টেন্ট মার্কেটিং
- ৪.এফিলিয়েট মার্কেটিং
- ৫.সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
- ৬.ইমেইল মার্কেটিং
- ডিজিটাল মার্কেটিং করে আয়-
- ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শিখব ?
- ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায়-
ব্যবসা waখাতে মার্কেটিং:
একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পণ্য সমূহ প্রচার এবং বিপণনের উপর ব্যবসার লাভ ক্ষতি নির্ভর করে থাকে। যে কোনো ব্যবসার উন্নয়ন তখন সম্ভব হয় যখন সেই প্রতিষ্ঠানের পণ্যসমূহের প্রচার ঠিকভাবে হয়। তাই পণ্যের প্রচার এবং প্রসারে মার্কেটিং এর গুরুত্ব কতখানি তা বলার অপেক্ষা রাখেন। কারণ আপনার প্রতিষ্ঠানের কি কি পণ্য আছে, তা যদি প্রচার করা না হয় তা যেমন আমার পক্ষে জানা সম্ভব না ঠিক তেমনি করে অন্যরাও জানবে পারবে না। মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে একটি পণ্যকে সহজভাবে বাজারে নিয়ে আসা হয় এবং গ্রাহকদের সামনে উপস্থাপন করা হয়।
ডিজিটাল মার্কেটিং কি(what is Digital Marketing in bangla)
মার্কেটিং হচ্ছে পাবলিকের কাছে কোন একটি জিনিস প্রমোট করা।আর ডিজিটাল প্রডাক্ট হচ্ছে যেগুলো ইন্টারনেট যুক্ত ইলেকট্রনিক ডিভাইস যেমন মোবাইল,কম্পিউটার,ট্যাবলেট ইত্যাদি।এক কথায় Digital Marketing বলতে ইন্টারনেট দ্বারা মোবাইল ও কম্পিউটারের মধ্যে কোন একটি পণ্য গ্রাহকের কাছে প্রচার পদ্ধতিকে বলা হয় ডিজিটাল মার্কেটিং।
অনলাইন পরিষেবা গুলোর সাহায্য নিয়ে বিভিন্ন কোম্পানি তাদের ব্র্যান্ড, পণ্য, সার্ভিস গুলোর বিজ্ঞাপন চালিয়ে মার্কেটিং করে থাকে।বর্তমানে আমাদের জেনারেশন প্রত্যেকটি ব্যবহারকারী জিনিস কেনার আগে অনলাইনের রিসার্চ করে।তাদের ব্র্যান্ড কোন ধরনের প্রোডাক্ট কেমন সার্চ হচ্ছে সেগুলো বিবেচনা করে মার্কেটিং করে।
বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ৬৫ শতাংশ লোক ইন্টারনেটর সাথে সংযুক্ত আর ৮০ শতাংশ সোশ্যাল মিডিয়ায়ার মধ্যে ভিড় দেখা যায়।তাই কোম্পানি গুলো তাদের ব্যবসার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলোর উপর ফোকাস করে থাকে।বিভিন্ন ব্র্যান্ড ও কোম্পানি এই সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম ও সার্চ ইঞ্জিন(গুগল) এর মধ্যে মার্কেটিং করে ব্যাবসার পথ আরো বৃদ্ধি ও সমৃদ্ধ করছে।
ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের সুবিধা-
বর্তমানে সময়ে ব্যবসা করা আগের থেকে সহজ হয়ে গিয়েছে। এখন আপনাকে আপনার পণ্যসমূহ মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে প্রচার করতে হয় না। আপনি ঘরে বসেই আপনার পণ্যসমূহের প্রচার করতে পারেন মুহূর্তেই। তারই অন্যতম একটি উদাহরণ Digital Marketing। ডিজিটাল মার্কেটিং। ইন্টারনেট জগতে যে কোনো কোম্পানি/ব্র্যান্ড /বিজনেস মালিক/প্রোডাক্ট/সার্ভিস অল্প খরচে বিশাল জনসমক্ষে প্রচার করার সব থেকে ভালো মাধ্যম digital marketing. ডিজিটাল মার্কেটিং সুবিধাদির কথা এক বাক্যে বলে শেষ করা যাবে না। চলুন তাহলে জেনে আসি ডিজিটাল মার্কেটিং সুবিধাসমূহ সম্পর্কে:-
- ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পণ্য সমূহের বৃহৎ থেকে বৃহত্তর পরিসরে উপস্থাপন করতে পারবেন।
- সহজেই পণ্যসমূহ কেনার ব্যাপারে মানুষকে আকৃষ্ট করতে পারবেন।
- চাহিদা অনুযায়ী গ্রাহক পেতে পারবেন সহজে।
- খুব সহজে প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ড ভ্যালু বাড়াতে পারবেন ডিজিটাল মার্কেটিং করে।
- স্বল্প সময়ে পণ্যসমূহকে অধিক কাষ্টমারের সামনে উপস্থাপন করতে পারবেন।
ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের প্রকারভেদ-
বর্তমানে বাজারে ব্যবসার ক্ষেত্রে একক আধিপত্য বিস্তার করেছে এই ডিজিটাল মার্কেটিং।চলেন তাহলে জেনে আসি ডিজিটাল মার্কেটিং প্রকারভেদ সম্পর্কে। ডিজিটাল মার্কেটিংকে মূলত ৬ টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। তা হল-
১.সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন
২.ওয়েবসাইট মার্কেটিং
৩.কন্টেন্ট মার্কেটিং
৪.এফিলিয়েট মার্কেটিং
৫.সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
৬.ইমেইল মার্কেটিং
১.সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন:
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজ অথবা SEO হচ্ছে এমন ডিজিটাল প্রক্রিয়া। যার মাধ্যমে কোনো সার্চ ইঞ্জিনে যেমন google এর সেরা ১০ রাঙ্ক এ একটি ওয়েবসাইটের পোস্ট স্থান পায়। একটু সহজে বলতে গেলে,আমরা যখন গুগলের মধ্যে কোন একটি কীওয়ার্ড (যেমন-what is Marketing ) লিখে সার্চ করি তখন গুগল আমাদের Top 10 রেজাল্ট দেখাই।
এখানে ওই কীওয়ার্ডের উপর সব থেকে ভালো লেখা ব্লগ পোস্ট ১,২ এই ভাবে স্থানে পাই। কারণ সেই ব্লগ পোস্ট ওই সার্চ করা কীওয়ার্ড উপর অপটিমাইজ করে।যে যত ভালো seo করতে পারবে,তার রাঙ্ক তত ভালো হবে। স্বাভাবিক ভাবে গুগলে রাঙ্ক করা ১,২ স্থান পাওয়া পোস্টে বেশি ক্লিক আসে। যে পোস্টে যত বেশি ট্রাফিক যাবে সেই ব্লগের ইনকাম তত বাড়বে। Search engine optimization এর দ্বারা ব্র্যান্ড ও কোম্পানি গুলো Marketing করে থাকে।
গুগল এর Google Adword দ্বারা কোম্পানি ও নানান বিসনেস নিজের প্রোডাক্ট এর সার্চ কীওয়ার্ড উপর গুগল সার্চ ইঞ্জিনে প্রচার চালাই।ফলে যখন ওই কীওয়ার্ড এর উপর কেউ সার্চ করে তখন রেজাল্টে অ্যাড আসে।দেখবেন অনেক সার্চ রেজাল্টে অ্যাড দেওয়া পোস্ট গুলো রেঙ্ক করে। এই ভাবে Search engine Marketing করা হয়।
২.ওয়েবসাইট মার্কেটিং
বর্তমান সময়ে রায় সকল প্ৰতিষ্ঠান তাদের পণ্যসমূহ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিক্রয় করে থাকে। যেমন আমরা কোন ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলে বিজ্ঞাপন দেখতে পাই। সেই ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন প্রচারের মাধ্যমকে বলা হয় ওয়েবসাইট মার্কেটিং।
৩.কন্টেন্ট মার্কেটিং
কনটেন্ট মার্কেটিং একটি মার্কেটিং করার গুরুত্বপূর্ণ স্ট্রাটেজি। এখানে ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন কন্টেন্ট দ্বারা টার্গেট করা হয়।Content যে কোনো জিনিসের উপর হতে পারে যেমন একটি ব্লগ পোস্ট, অথবা ভিডিও,আবার একটি আর্টিকেল বা শর্ট ভিডিও। এর মানে হচ্ছে সেই Content দ্বারা ইউজার কিছু ইনফর্মেশন পাবে, এর ফলে সেই পাঠক হয় কিছু ক্রয় করতে পারে অথবা ব্যান্ড সম্পর্কে জানবে।
বিভিন্ন কোম্পানি ও বিজনেসগণ তাদের প্রোডাক্ট ও সার্ভিস গুলো উপর বিভিন্ন কনটেন্ট ইউটিউব ,গুগল,ফেসবুকের মতো সোশ্যাল মিডিয়ার মধ্যেমে দিয়ে থাকে।ফলে গ্রাহকরা সেই প্রোডাক্ট এর উপর রিভিউ অথবা ইনফর্মেশন পাই,এখানে সেই ব্র্যান্ড গুলো ইউজারদের সেই প্রোডাক্ট এর রিভিউ বা ইনফরমেশন দ্বারা টার্গেট করে থাকে।
একটি পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়,প্রোডাক্টের রিভিউ এর উপর সব থেকে বেশি গ্রাহকরা আকৃষ্ট হন। কারণ গ্রাহকরা নিজে সেই জিনিস উপর ইনফরমেশন পাওয়ার জন্য খোঁজ করে। সাধারণত ইউজাররা কোন প্রোডাক্ট ক্রয় করার উদ্দেশ্যে তার পজিটিভ,নেগেটিভ দিক গুলো জানার চেষ্টা করে।তারা গুগল ও ইউিটউবে তার ইনফর্মেশন খোঁজ করে।এই ভাবে ব্র্যাড নিজের ভিডিও/টেস্ট কনটেন্ট দ্বারা প্রমোট করে।
৪.এফিলিয়েট মার্কেটিং
ই-কমার্স সাইটের পণ্যমসূহ সম্পর্কে রিভিউ দিয়ে গ্রাহকদের সেই পণ্য কেনার প্রতি আগ্রহী সৃষ্টি করে তোলাই হল এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের কাজ। বর্তমানে এফিলিয়েট মার্কেটিংকে কেন্দ্র করে ভালো বাণিজ্য গড়ে উঠেছে আমাদের দেশে। যেমন, অ্যামাজন, আলিবাবা ইত্যাদি।
৫.সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
আমাদের চারপাশে প্রায় সবাই সোশ্যাল মিডিয়ার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে।এই বিশাল মার্কেটকে সব কোম্পানি ও ব্যবসায়ীকগণ টার্গেট করে থাকে।এই প্রচার প্রক্রিয়া সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং নামে পরিচিত।
আমাদের অনেকেই ফেসবুক,টুইটার,ইউটিউব,ইনস্টাগ্রাম,হোয়াটসঅ্যাপ,টেলিগ্রাম আরো বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে থাকি। এই প্ল্যাটফর্ম গুলোতে বিভিন্ন কোম্পানি ও ব্যবসায়ীগণ বিভিন্ন প্রোডাক্ট ও সার্ভিস গুলোর অ্যাড প্রচার করে থাকে।
ইন্টারনেটের মধ্যে বহু সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম দেখা যায়। আমাদের দেশে ইউটিউব,ফেসবুক, টুইটার খুবই জনপ্রিয় তাই এগুলোতে মার্কেটিং সব থেকে বেশি হয়। অনলাইনে বিভিন্ন বিজনেস ও ই-কমার্স সাইট,স্টোর তাদের বিভিন্ন প্রোডাক্ট সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচার করে। এই বিশাল সংখ্যক দর্শকের প্রমোট করার ফলে অনলাইন ব্যবসা গুলো আজ অনেক সাকসেসফুল হয়ে উঠেছে।
৬.ইমেইল মার্কেটিং
বর্তমানে সময়ে হোয়াটসঅ্যাপ,এসএমএস,চ্যাট, বিভিন্ন অ্যাপ থাকা সত্ত্বেও email-marketing একটি গুরুত্বপূর্ণ মার্কেটিং টেকনিক গুলোর মধ্যে একটি।বিশ্বের বিভিন্ন ব্রান্ড Email Marketing দ্বারা তাদের প্রোডাক্টের গুনাগুন,ইনফরমেশন,অফার ইউজারদের কাছে তুলে ধরেন।এছাড়া কোম্পানি গুলো তাদের বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে পাঠকদের ই-মেইল সংগ্রহ করে।
এই সব ব্রান্ড তাদের প্রোডাক্ট সম্পর্কে বিভিন্ন অফার, নতুন লঞ্চ পণ্য ইত্যাদ পাঠকদের ইমেইল দ্বারা সেন্ড করতে থাকে।এখানে সেই ইমেইল গুলো সুন্দর ভাবে লেখা হয় ছবিসহ যেখানে পাঠকদের সেই প্রোডাক্ট ক্রয় করার জন্য প্রভাবিত করা হয়।ইমেইল মার্কেটিং সঠিক ইউজারদের টার্গেট করলে অনেক লাভবান হওয়া যায়। এই জন্য বহু কোম্পানি,ব্র্যান্ড ও বিভিন্ন বিজনেস ইমেইল মার্কেটিং করে থাকে।
ডিজিটাল মার্কেটিং করে আয়-
বর্তমান সময়ে সবচেয়ে আলোচিত একটি শব্দ হল ডিজিটাল মার্কেটিং। ডিজিটাল মার্কেটিং ব্যবসা-খাতে এক বিপ্লব সাধন করেছে। আপনি ঘরে বসেই বিশ্বের যেকোনো স্থানে আপনার ব্যবসাকে ছড়িয়ে দিতে পারছেন। তাই প্রতিটি ছোট-বড় প্রতিষ্ঠানসমূহ আজকাল Digital Marketing পদে জনবল খুঁজে থাকেন।
কিন্তু অনেকের ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকার কারণে বড় বড় প্রতিষ্ঠান সমূহ বিদেশ থেকে দক্ষ ব্যক্তি উক্ত পদের জন্য নিয়োগ করে থাকে। আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশে ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে জানা লোকজনের বড়োই অভাব রয়েছে। কিন্তু আপনি চাইলে নিজের প্রতিষ্ঠানের জন্য কিংবা একজন দক্ষ মার্কেটের হিসেবে গড়ে উড়তে অথবা ডিজিটাল মার্কেটিং করে আয় চাইলে শিখতে পারেন ডিজিটাল মার্কেটিং।
ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শিখব ?
আপনি যে কোন স্কীল অর্জন করতে চান না কেন তার জন্য অবশ্যই আপনাকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেতে হবে। ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম নয়। ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে চাইলে ২ ধরণের উপায় রয়েছে। যথা:
১.অনলাইন ২.অফলাইন
১.অনলাইন:অনলাইনে আপনি ঘরে বসে নিজের পছন্দমতো সময়ে পছন্দমত প্রতিষ্ঠানে ই-লার্নিং পদ্ধতির মাধ্যমে ঘরে বসে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে পারবেন।
২.অফলাইন:অফলাইন পদ্ধতি মূলত আপনার পছন্দমত কোন প্ৰতিষ্ঠান গিয়ে সেই প্ৰতিষ্ঠানর অধীনে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে হবে।
ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায়-
আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে চান তাহলে আপনি অনলাইন কিংবা অফলাইন দুইভাবে শিখতে পারবেন। আপনারা কোন প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল মার্কেটিং ভালোভাবে শিখতে পারবেন সেই সম্পর্কে আপনাদের ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করছি।
অনলাইন-
Udemy
ই-লার্নিং জগতে অন্যতম একটি নাম হল udemy। যেকোনো স্কিল ডেভেলপমেন্ট কোর্স রয়েছে udemy সাইটে। আপনি যদি দেশে থেকে বিদেশে স্কিল ডেভেলপমেন্ট কোর্স চান তাহলে নির্দ্বিধায় বেছে নিতে পারেন udemy সাইট।
LEDP
বাংলাদেশ সরকারের সরাসরি অর্থায়নে পরিচালিত একটি ই-লার্নিং এবং আর্নিং প্রকল্প হল ledp। LEDP সাইটে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে যেকোনো স্কিল শিখে নিজেকে দক্ষ করে তুলতে পারবেন।
রবি ১০ মিনিট স্কুল
বাংলাদেশ সর্বপ্রথম ই-লার্নিং প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচালিত রবি ১০ মিনিট স্কুল। রবি ১০ মিনিট স্কুল প্রতিষ্ঠানে রয়েছে অসাধারণ সকল স্কিল অর্জন করার সুযোগ। তাই আপনার পছন্দের কোর্স পেতে চাইলে দেরি না করে রেজিস্ট্রেশন করুন রবি ১০ মিনিট স্কুল।
Interactive Cares
সম্পূর্ণ cloud এবং AI ভিত্তিক একটি ই-লার্নিং প্রতিষ্ঠান হল Interactive Cares। ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের কোর্স রয়েছে এই প্রতিষ্ঠানে। যা আপনি ঘরে বসেই শিখতে পারবেন আপনার পছন্দের কোর্স।
অফলাইন-
Creative IT
আইটি খাতে দক্ষ জনবল গড়ে তুলতে প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই কাজ করে যাচ্ছে Creative IT প্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন রকম স্কিল ডেভেলপমেন্ট কোর্সসমূহ থেকে আপনার প্রয়োজনীয় কোর্স নিতে চাইলে আজই আপনি Creative IT প্রতিষ্ঠানে গিয়ে শিখে নিতে পারেন।
Coderstrust Bangladesh
প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে ভালোমনের আইটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে বেশ নাম কুড়িয়েছে কোডারট্রাস্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠানটি। আপনি স্কিল ডেভেলপমেন্ট করতে চাইলে কোডারট্রাস্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ভর্তি হতে পারেন আপনার পছন্দের কোর্সে।
BITM
বেসিস এর সরাসরি তত্ত্বাবধানে পরিচালিত একটি যোগ্য আইটি ট্রেনিং সেন্টার হল BITM। আইটি খাতে দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে তোলাই এদের মূল লক্ষ্য।
Digital Marketing Farm
প্রতিষ্ঠানের শুরুতে সেরা ট্রেনিং সেন্টার হিসেবে নাম কুড়িয়েছে এই প্রতিষ্ঠানটি। বিভিন্ন ধরনের হার্ড স্কিল এবং সফট স্কিলের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে ডিজিটাল মার্কেটিং ফার্ম প্রতিষ্ঠানটি।
পরিশেষে বলা যায় যে, আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং এ এক্সপার্ট হতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই প্রাতিষ্ঠানিক ট্রেনিং নিতে হবে এবং পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে।
Nice information
ধন্যবাদ
God information
ধন্যবাদ
Nice post
ধন্যবাদ
I learn something from here, thanks
ধন্যবাদ
So nice
ধন্যবাদ