কিভাবে সুন্দর হওয়া যায়-Fairness Tips
অল্প খরচে ফর্সা উপায় কিনা জানতে চাই? সকলেই সুন্দর, উজ্জল এবং স্বাস্থ্যসম্মত ত্বকের অধিকারী হতে চাই। অনেকে নিজের ত্বককে ফর্সা করার জন্য বিভিন্ন বাজারজাতকরণ ফর্সা হওয়া ক্রিম ব্যবহার করে থাকে। তবে সে সমস্ত ক্রিম ত্বকের উপকারের চেয়ে অপকারই করে বেশি।
কেননা বাজারজাতকরণ ক্রিম গুলো তে ব্যবহৃত রাসায়নিক পদার্থ দিনের-পর-দিন ব্যবহারের ফলে ত্বক নষ্ট হয়ে যায় এবং মুখের চামড়া দিনদিন পাতলা হয়ে যায়। তাই নিজের ত্বককে আরও সুন্দর উজ্জ্বল মোহনীয় করে তোলার জন্য প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করাই বুদ্ধিমানের কাজ। এছাড়াও পার্লারে গিয়ে ট্রিটমেন্ট করালে তা সময়ও খরচ দুটি ব্যয় করে। ঘরে থাকা কয়েকটা জিনিস এর মাধ্যমেই আপনি আপনার নিজের ত্বককে সহজে ফর্সা করে তুলতে পারবেন। এবার এক নজরে দেখে নিন ত্বকের ঘরোয়া ভাবে সুন্দর হওয়ার উপায়:
১. কমলালেবুর খোসা
উপাদান:
কমলালেবুর খোসার গুঁড়ো - ১ টেবিল চামচ
মধু - এক চামচ
হলুদ - এক চিমটি
লেবুর রস - কয়েক ফোঁটা
পানি - পরিমাণ মতো
কিভাবে ব্যবহার করবেন?
- কমলালেবুর খোসার গুঁড়ো,হলুদ এবং লেবুর রস মিশিয়ে তার মধ্যে অল্প পানি যোগ করে একটি ঘন মিশ্রণ তৈরী করে নিন।
- এরপর এটি মুখের উপর হালকা করে লাগিয়ে নিন।
- এবার ২০/২৫ মিনিট এই প্যাকটি মুখে লাগিয়ে রাখুন।
- ২০/২৫ মিনিট পরে শুকিয়ে গেলে পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।
- সপ্তাহে ২ বার এই প্যাকটি ব্যবহার করুন।
- কমলালেবুর খোসার প্যাকটি ব্যবহারের ফলে দূরত্ব মুখের মধ্যে উজ্জলতা লক্ষ করতে পারবেন এবং ত্বকের যেকোনো দাগ খুব কম সময়ে হালকা করতে সাহায্য করে এই ফেসপ্যাকটি।
কিভাবে এটি ত্বকে কাজ করে?
কমলালেবুর খোসার মধ্যে থাকা সাইট্রাস জাতীয় উপাদান ত্বকের ছিদ্রগুলো থেকে খুব সহজেই নোংরা পরিষ্কার করে এবং কুশার মধ্যে থাকা ভিটামিন সি ত্বককে বার্ধক্যজনিত সমস্যা থেকে ত্বককে রক্ষা উজ্জ্বল করে তোলে। এতে ত্বক ফর্সা হয়।
২. চালের গুঁড়ো
উপাদান:
চালের গুঁড়ো - ২ টেবিল চামচ
শসার রস - ১ চা চামচ
লেবুর রস - ১ চা চামচ
কিভাবে ব্যবহার করবেন?
- চালের গুঁড়ো, শসার রস এবং লেবুর রস দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরী করে নিন।
- মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে ১৫/২০ মিনিট রেখে দেওয়ার পর উষ্ণ গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
- সপ্তাহে ২ বার এই প্যাকটি মুখে ব্যবহার করুন।
- মুখে ছোট ছোট দানা জাতীয় কোনো সমস্যা দেখা দিলে কিংবা ব্রণ সমস্যা এটি কার্যকরী উপাদান।
কিভাবে এটি ত্বকের কাজ করে?
চালের গুঁড়ো ত্বককে ভেতর থেকে পরিষ্কার করে মসৃণ এবং নরম করে তুলতে সাহায্য করে। এছাড়াও ব্রণের দাগ দূর করার জন্য চালের গুঁড়োর তুলনা নেই।
৩.সুন্দর ফর্সা ত্বক পেতে লেবুর ব্যবহার
উপাদান:
পাতিলেবু - ১ টি
মধু - ২ চামচ
কিভাবে ব্যবহার করবেন?
- একটি পাতিলেবু নিন।
- তারপর লেবুটিকে কেটে সমস্ত রস বের করে নিন।
- এরপর দুই চামচ লেবুর রস ১ চামচ জলে মিশান।
- এবার এই মিশ্রণটি ত্বকের দাগ ছোপ যুক্ত জায়গায় লাগান।
- লেবুর রস ও মধুর সাথে সমপরিমাণ মিশিয়ে মুখে লাগাতে পারেন।
- এই মিশ্রণটি যাবতীয় নোংরা এবং রোদে পোড়া দাগ তুলতে সাহায্য করে।
- মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে ১০/১৫ মিনিট অপেক্ষা করে তারপর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
- তবে এই মিশ্রণটি মুখে লাগানোর আগে অবশ্যই কানের পেছনে কিংবা গলায় লাগিয়ে দেখে নেবেন।
কিভাবে এটি ত্বকের কাজ করে?
লেবুর মধ্যে থাকা ভিটামিন সি যেকোনো দাগ কে পরিষ্কার করে ত্বককে করে তোলে এবং ত্বকের শুষ্কতা কাটিয়ে তাকে আরো উজ্জ্বল কোরে তোলে। এছাড়াও রোদে পোড়া দাগো সহজেই হালকা করে।
৪.ত্বক ফর্সা করতে হলুদ
উপাদান:
কাঁচা হলুদ গুঁড়ো হলুদ - ১ চামচ
লেবুর রস - ২ চামচ
কিভাবে ব্যবহার করবেন?
- হলুদ গুঁড়ো কিংবা কাঁচা হলুদ বেটে নিন ১ চামচ।
- এবার তার সাথে দুই চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন।
- লেবুর রস এবং হলুদ গুঁড়ো ভাল করে মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন।
- এবার মিশ্রণটি মুখে ভালো করে লাগিয়ে নিন।
- তারপর ১৫ মিনিট মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে রাখুন এবং শুকিয়ে গেলে হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ভালো করে ধুয়ে নিন।
- সপ্তাহে ২ বার এই প্যাকটি ব্যবহার করুন। তাহলে এক মাসের মধ্যে পার্থক্যটা নিজের চোখেই দেখতে পারবেন।
কিভাবে এটি ত্বকের কাজ করে?
হলুদের মধ্যে থাকা উপাদান ত্বককে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং এন্টি ইনফ্লামেটরি হিসেবে কাজ করে জাতককে সমস্ত ক্ষতিকারক জীবন থেকে রক্ষা করে। এছাড়াও কাঁচা হলুদের মধ্যে থাকা উপাদান ত্বককে দ্রুত ফর্সা করে তুলে। এটি ত্বকের ভেতর থেকে পরিষ্কার করে।
৫. দুধ ব্যবহারে ত্বক ফর্সা হয়
উপাদান:
দুধ - ১ টেবিল চামচ
মধু - ১ চা চামচ
কিভাবে ব্যবহার করবেন?
- মধু এবং দুধকে ভালো করে মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরী করে নিন।
- এরপর মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন।
- মিশ্রণটি শুকিয়ে গেলে হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।
- আপনার ত্বক যদি খুব শুষ্ক থাকে সে ক্ষেত্রে দুধের বদলে দুধে শ্বর মধুর সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। এতে ত্বক আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।
- এই মিশ্রণটি প্রতিদিনই ব্যবহার করতে পারেন।
কিভাবে এটি ত্বকের কাজ করে?
দুধের মধ্যে থাকা প্রাকৃতিক উপাদান গুলি ত্বকে ভেতর থেকে হালকা করে এবং ত্বককে বা এর থেকে সুন্দর মসৃণ করে তোলে। এটি ফর্সা হওয়ার একটি সহজ উপায়।
৬. টমেটো দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়
উপাদান:
টমেটো: দুটো
লেবুর রস: 2 চা চামচ
কিভাবে ব্যবহার করবেন?
- ২ টি টমেটো বেটে নিয়ে মিশ্রণ থেকে রস বের করে নেবেন।
- তারপর পরিমাণমতো টমেটোর রস নিয়ে তার মধ্যে লেবুর রস মিশ্রিত করে একটি পেস্ট তৈরি করবেন।
- টমেটো মিশ্রণটি সমস্ত মুখমন্ডলে লাগাবেন।
- টমেটো মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করবেন।
- তারপর সাধারণ পানি দিয়ে সমস্ত মুখমন্ডল ভালোভাবে ধুয়ে নিবেন।
- গোসলের আগে এই মিশ্রণটি ব্যবহার করতে পারেন। এর ফলে ত্বকের দাগ কমে যায়।
কিভাবে এটি ত্বকের কাজ করে?
টমেটোর মধ্যে থাকা উপাদান ত্বকের দাগ ছোপ কমিয়ে ত্বককে ভেতর থেকে ফর্সা এবং উজ্জ্বল করে তোলে। ত্বকের ভেতরে থাকা লাইকোপিন নামক উপাদান ত্বকের আদ্রতা প্রদান করে এবং ত্বকের উপর থাকা মৃত কোষ গুলোকে সরিয়ে ত্বকের ট্যান দূর করতে সাহায্য করে। আসো দাঁড়া দাঁড়া।
৭. সুন্দর হওয়ার জন্য গোলাপ জল
উপাদান:
গোলাপ জল - পরিমাণ মতো
তুলো - আপনার প্রয়োজন মত
কিভাবে ত্বকে ব্যবহার করবেন?
- গোলাপ জল তুলোর মধ্যে নিয়ে ভালো ভাবে মুখটা পরিষ্কার করুন।
- প্রতিদিন দুই বার এটি ব্যবহার করতে পারেন।
- গোসল করার আগে অথবা বাইরে থেকে ঘুরে আসার পর গোলাপ জল দিয়ে মুখটা পরিষ্কার করে নিবেন।
- গোলাপজল ত্বকের উপরের অংশে থাকা ধুলাবালি দ্রুত সরিয়ে ফেলে তবে একটি সতেজ অনুভূতি এনে দেয়।
কিভাবে এটি ত্বকের কাজ করে?
গোলাপ জল ত্বককে ভেতর থেকে উজ্জ্বল এবং সতেজ করে তোলে। প্রতিদিন তকে গোলাপ জল ব্যবহার করলে ত্বক লাবণ্যময়ী হয়ে ওঠে। এটি খুব সহজেই বাজারে পাওয়া যায়। গোলাপ জল ত্বককে একটি ঠাণ্ডা অনুভূতি এনে দেয়।
৮. ত্বকের যত্নে পেঁপের ব্যবহার
উপাদান:
পাকা পেঁপে - অর্ধেক
মধু - ১ টেবিল চামচ
লেবুর রস - হাফ টেবিল চামচ
কিভাবে ব্যবহার করবেন?
- অর্ধেক পাকা পেঁপে ভালো করে বেটে নিন।
- তারপর মিশ্রণ করা পাকা পেঁপের সঙ্গে মধু এবং লেবুর রস দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন।
- প্যাকটি ভাল করে ত্বকে লাগিয়ে নিন।
- তারপর ১৫/২০ মিনিট পর সাধারণ পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
- প্রতিদিন গোসলের আগে হাত মুখে একবার প্যাকটি ব্যবহার করুন আপনার ত্বক আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।
- পেঁপের এই প্যাকটি সপ্তাহে ২ দিন ব্যবহার করতে পারেন।
- এছাড়াও পাকা পেঁপে প্রতিদিন গোসলের আগে ব্যবহার করতে পারেন।
কিভাবে পেঁপের প্যাকটি ত্বকের কাজ করে?
পেঁপেকে ভিটামিন এবং খনিজ বলা হয়। ত্বকের উপযোগী সব উপাদান পেঁপের মধ্যে রয়েছে। পেঁপে খাওয়ার পাশাপাশি মুখে ব্যবহার করলে ত্বক উজ্জল হয়। পেঁপেতে এক ধরনের এনজাইম থাকে যা ত্বককে ফর্সা করে তুলতে সাহায্য করে। পেঁপে ত্বকের মৃত কোষ গুলোকে সরিয়ে নতুন কোষ তৈরি করতে সাহায্য করে চাঁদের ফুসফুসের সমস্যা, ব্রণ এবং মুখের দাগ রয়েছে তাদের জন্য পেঁপে খুবই উপকারী। এছাড়াও পেপার অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে।
৯. কলার মাস্ক
উপাদান:
কলা - একটি
মধু - এক চামচ
লেবু - কয়েক ফোঁটা
কিভাবে কলার মাস্ক ব্যবহার করবেন?
- প্রথমে কলার দিকে মিক্সিতে ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে।
- তারপর বৃষ্টির মধ্যে মধু এবং লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে।
- লেবুর রস এবং মধু দিয়ে কলার মিশ্রণটি ভালোভাবে ফেটে নিতে হবে।
- এরপর মিশ্রণটি ২০ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখুন।
- এরপর পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ভালো ভাবে ধুয়ে নিন।
- কলার এই মিশ্রণটি সপ্তাহে একদিন ব্যবহার করুন।
- এক মাস ব্যবহার করার পরে আপনি নিজেই আপনার ত্বকের পরিবর্তন দেখতে পাবেন।
- এই প্যাকটি ব্যবহার করার পরে কখনোই মুখে বা স্কিনে সাবান ব্যবহার করবেন না।
কিভাবে কলার মাস্ক ত্বকে কাজ করে?
কলার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং মিনারেল থাকে যার ফলে ত্বক উপযুক্ত পুষ্টি পায়। মূলত শুষ্ক ত্বকের জন্য কলার মাস্ক ব্যবহার করা হয়। কলার মধ্যে থাকা প্রাকৃতিক উপাদান ত্বককে বার্ধক্য জনিত সমস্যা থেকে রক্ষা করে এবং কম খরচে তার পুষ্টি পায়।
১০. ত্বক পরিচর্যায় মুলতানি মাটি
উপাদান:
মুলতানি মাটি - ৪ চামচ
চন্দন গুঁড়ো - ১ চামচ
গোলাপ জল - পরিমাণ মতো
কিভাবে ব্যবহার করবেন?
- মুলতানি মাটি, চন্দন গুঁড়ো এবং গোলাপ জল দিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন।
- এরপর মিশ্রণটি মুখে পরিষ্কার ত্বকের উপর, গলায়, ভালো করে লাগিয়ে নিন।
- তারপর ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন।
- এরপর পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।
- তবে খুব বেশি শুষ্ক ত্বক যাদের তারা গোলাপ জলের বদলে মধু দিয়ে মিশিয়ে মিশ্রণ ব্যবহার করতে পারেন।
কিভাবে মুলতানি মাটির কাজ করে?
মুলতানি মাটিতে থাকা ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম জাতীয় বিভিন্ন খনিজ ত্বককে
ভেতর থেকে পরিশুদ্ধ করে তোলে। এছাড়াও তৈলাক্ত ত্বক ও ব্রণের সমস্যা থাকলে
মুলতানি মাটির ব্যবহার করা আবশ্যক। এটি ত্বক থেকে অতিরিক্ত তেল সরিয়ে
ত্বকের প্রাকৃতিক পিএইচ ব্যালেন্স বজায় রাখে। বার্ধক্যজনিত কারণে যাদের
ত্বক ভারসাম্য হারিয়েছে তাদের ক্ষেত্রে মুলতানি মাটি একটি অসাধারণ উপাদান।
মূলতঃ তৈলাক্ত ত্বকের জন্যই মুলতানি মাটি খুব উপযোগী। ঘরোয়া পদ্ধতিতে
মুলতানি মাটির প্যাক বানিয়ে ত্বককে আরও ফর্সা করে তুলুন।
এছাড়াও ত্বক সুন্দর হওয়ার ঘরোয়া উপায় রয়েছে। আপনি এই টিপ্সগুলির কোনটা মেনে চলেন? আপনার কাছেও কি আছে আরো কিছু ফর্সা হওয়ার টিপ্স? অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে জানান।
Nic
ধন্যবাদ আপনাকে
Very good
nice post
ধন্যবাদ
good post
ধন্যবাদ
Nice tips
ধন্যবাদ
Very good
tha
good post
thanks
Nice post