বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম
বর্তমানে বিকাশ একাউন্ট খোলা একদম সহজ। আজকের এই আর্টিকেল থেকে নিজে নিজে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম জেনে নিয়ে খুব সহজে নিজের একটি বিকাশ পার্সোনাল একাউন্ট খুলতে পারবেন। এছাড়াও এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে অনলাইনে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম শেখাবো। আপনার যদি এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোন থাকে তাহলে বিকাশ অ্যাপ ইন্সটল করে মাত্র ৫ মিনিটে বিকাশ একাউন্ট তৈরী করে নিতে পারবেন।
নতুন বিকাশ একাউন্ট খোলা একদম সহজ। বর্তমানে সকল সিম অপারেটর যেমন-এয়ারটেল, বাংলালিংক, টেলিটক, গ্রামীণফোন এবং রবি গ্রাহকরা বিকাশ একাউন্ট খুলতে পারবেন ঘরে বসে নিজের ফোন থেকেই। Google play store থেকে বিকাশ অ্যাপ ডাউনলোড করে ঘরে বসে একাউন্ট খুলতে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন। তবে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম শেখার আগে বিকাশে কিছু বিষয়ে জেনে নিব।
পোস্ট সূচিপত্র:
- বিকাশ কি?
- বিকাশ একাউন্ট থেকে কি কি সেবা নেওয়া যায়?
- কিভাবে বিকাশ অ্যাপ ডাউনলোড করব?
- বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম-
- বিকাশ একাউন্ট খোলার জন্য কি কি লাগবে?
- নিজে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম-
- বিকাশ এজেন্ট কি?
- বিকাশ এজেন্ট হতে কত টাকা লাগে?
- বিকাশ এজেন্ট হওয়ার জন্য কি কি লাগে?
- বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম-
- বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট কি?
- বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খোলার জন্য কি কি প্রয়োজন?
- বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম-
বিকাশ কি?
বিকাশ ( bkash ) হল বাংলাদেশে মোবাইল ফোন ভিত্তিক অর্থ লেনদেনের একটি পরিষেবা। মোবাইল ফোনে বিকাশ একাউন্ট খুলে একজন গ্রাহক বাংলাদেশের যেকোনো স্থান থেকে তার বিকাশ একাউন্টে অর্থ জমা, উত্তোলন, মোবাইল রিচার্জ এবং নিজের মোবাইল থেকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অর্থ স্থানান্তর করতে পারেন। বিকাশ হল-ব্র্যাক ব্যাংক, যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক মানি ইন মোশন, বিশ্ব ব্যাংক গ্রুপের অন্তর্গত ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স কর্পোরেশন,বিল অ্যান্ডি মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন এবং অ্যান্ট ফিনা এর মালিকানা প্রতিষ্ঠান বিকাশ।
আরো পড়ুন:বিকাশ অ্যাপ ব্যবহারের নিয়ম
বিকাশ একাউন্ট থেকে কি কি সেবা নেওয়া যায়?
একজন বিকাশ একাউন্ট হোল্ডার তার বিকাশ একাউন্টে যদি পর্যাপ্ত ব্যালেন্স থাকে। তাহলে বিকাশ একাউন্ট হোল্ডার যে কোন সময় যে কোন জায়গা থেকেই বিকাশের বিভিন্ন সেবা উপভোগ করতে পারেন। একটা সময় ছিল যখন শুধুমাত্র বিকাশের নির্ধারিত এজেন্ট থেকে বিকাশ একাউন্ট খুলতে হত। কিন্তু বর্তমান সময়ে ঘরে বসে নিজে বিকাশ একাউন্ট খোলা যায়। বিকাশের বর্তমান সেবাগুলো হচ্ছে:-
- বিকাশ একাউন্টে টাকা জমা করা।
- একটি বিকাশ একাউন্ট থেকে আরেকটি বিকাশ একাউন্টে টাকা পাঠানো।
- বিকাশ একাউন্ট থেকে এজেন্ট অথবা ব্রাক ব্যাংক এটিএম থেকে টাকা তোলা।
- মোবাইলে নাম্বারে রিচার্জ করা।
- পণ্য কেনাকাটা বা সেবার বিনিময়ে মূল্য পরিশোধ করা।
- বিদেশ থেকে রেমিটেন্স গ্রহণ করা।
- বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা।
- বেতন প্রদান করা।
- ঘরে বসে বিভিন্ন যানবাহনের টিকিট ক্রয় করা।
- ইন্টারনেটে কেনাকাটা।
এগুলো ছাড়াও বিকাশ তাদের অ্যাপে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ফিচার যুক্ত করেছে।
কিভাবে বিকাশ অ্যাপ ডাউনলোড করব?
আপনি যদি স্মার্টফোন ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন। তাহলে বিকাশ অ্যাপ খুব সহজেই ডাউনলোড করতে পারবেন। স্মার্টফোনের সাহায্যে খুব সহজে গুগল প্লে স্টোর থেকে সম্পূর্ণ ফ্রিতে বিকাশ অ্যাপ ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। অ্যাপ ডাউনলোড করতে হলে অবশ্যই একটি জিমেইল আইডি দিয়ে গুগল প্লে স্টোরে লগইন করতে হবে এবং খুব সহজেই আপনি বিকাশ অ্যাপ ডাউনলোড করতে পারেন।
বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম-
বর্তমানে তিনটি উপায়ে বিকাশ একাউন্ট খোলা যায়। প্রথমত, মোবাইল ফোনে বিকাশ অ্যাপ ডাউনলোড করে নিজে নিজে বিকাশ একাউন্ট খুলতে পারবেন। দ্বিতীয়তঃ বিকাশের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট থেকেও নিজে নিজে বিকাশ একাউন্ট খুলে পারবেন। তৃতীয়তঃ বিকাশ একাউন্ট খোলার জন্য আপনাকে কোন বিকাশ এজেন্টের কাছে বা বিকাশ কাস্টমার কেয়ারে গিয়ে নিজ নামে বিকাশ একাউন্ট খুলতে পারবেন।
বিকাশ একাউন্ট খোলার জন্য কি কি লাগবে?
- স্মার্টফোনে বিকাশ অ্যাপ ইন্সটল থাকতে হবে।
- মোবাইলে ইন্টারনেট কানেকশন থাকতে হবে।
- জাতীয় পরিচয় পত্র ( NID )
- একটি অ্যাক্টিভ মোবাইল নাম্বার লাগবে।
নিজে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম-
নিজের বিকাশ একাউন্ট খোলার জন্য সর্বপ্রথম আপনার স্মার্ট মোবাইল ফোনে বিকাশ অ্যাপ ইন্সটল করে নিতে হবে। আপনার ফোনে যদি বিকাশ অ্যাপ ইন্সটল করা থাকে, তাহলে বিকাশ অ্যাপটি আপডেট করে নিবেন। এরপর আপনার মোবাইলে ইন্টারনেট কানেকশন অন করে বিকাশ অ্যাপটি ওপেন করলে নিচের চিত্রটি দেখতে পাবেন।
উপরের চিত্রের ১ নং অংশে "লগ ইন/রেজিস্ট্রেশন" ক্লিক করতে হবে। লগ ইন/রেজিস্ট্রেশন অংশে ক্লিক করার পর মাঝখানের চিত্রের ২ নং অংশে আপনি যে সিম নাম্বারে বিকাশ একাউন্ট খুলতে চাচ্ছেন সেই নাম্বারটি টাইপ করে ৩ নং অংশের "পরবর্তী" লেখা বাটনে হাতের আঙ্গুল দিয়ে চাপ দিতে হবে। তারপর ৪ নং অংশ আপনি যে সিমে বিকাশ একাউন্ট খুলবেন সেই অপারেটর সিলেক্ট করতে হবে এবং আপনার কাঙ্খিত নম্বরটিতে ভেরিফিকেশন কোড আসবে।
এখানে উপরের চিত্রে ১ অংশে আপনার সিলেক্ট করা আশা ভেরিফিকেশন কোডটি বসিয়ে দিয়ে ২ নং কংসের "কনফার্ম করুন" অপশনে ক্লিক করুন। এরপর মাঝখানের চিত্রের ৩ নং অংশের " আমার সম্মতি আছে" অপশনে ক্লিক করুন। তারপর ডান পাশের চিত্রে ৪ কংসের "NID এর ছবি তুলুন" লেখাতে ক্লিক করলে নিচের চিত্রগুলো শো করবে।
এখন উপরের চিত্রের ১ নং অংশে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের বা NID সামনের পৃষ্ঠা ধরে ২ নং অংশের বাটনে ক্লিক করে জাতীয় পরিচয় পত্রের ছবি তুলুন। ছবি তোলার পর ৩ নং অংশের " সাবমিট করুন" অপশনে ক্লিক করতে হবে। এরপর ৪ নং অংশে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের পিছনের পৃষ্ঠা ধরে ৫ নং অংশের বাটনে ক্লিক করে জাতীয় পরিচয় পত্রে পেছনের অংশের ছবি তুলতে হবে।
এবার উপরের চিত্রের ১ অংশের " সাবমিট করুন" বাটনে ক্লিক করলে মাঝখানের চিত্রে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের সকল তথ্য অটোমেটিক শো করবে। তারপর ২ নং অংশের " পরবর্তী" অপশনে ক্লিক করতে হবে। এরপর ডান পাশের চিত্রে আপনার সকল তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করে ৩ 3 নং অংশের " পরবর্তী" অপশনে চাপ দিলে নিচের চিত্র সহ হবে।
এবার উপরের চিত্রের ১ নাম্বার অংশে ক্লিক করলে মাঝখানের চিত্রের ২ নং অংশে আপনার মোবাইলের ফন্ট ক্যামেরার সামনে সেলফি স্টাইলের মুখমন্ডলের ছবি তুলতে হবে। মনে রাখবেন ছবি তোলার সময় ক্যামেরার সামনে আপনার ফেইস ধরে রাখলে এবং চোখ ওঠানামা করলে অটোমেটিক ছবি উঠে যাবে। এরপর ডান পাশের চিত্রে ৩ নং অংশের " নিশ্চিত করুন" অপশনে ক্লিক করতে হবে।
এখন আপনার মোবাইলে একটি এসএমএস আসবে এসএমএস না আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এসএমএস আসার পর ১ নং অংশে ক্লিক করে বিকাশ অ্যাপ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। তারপর পুনরায় বিকাশ অ্যাপ ওপেন করে ২ নং অংশের " লগ ইন/রেজিস্ট্রেশন" অপশনে ক্লিক করতে হবে। তারপর ৩ নং অংশে আপনার মোবাইল নাম্বারটি দিয়ে ৪ নং অংশের " পরবর্তী" লেখাতে ক্লিক করতে হবে।
এবার উপরের চিত্রের ১ নং অংশের মত আপনার কাঙ্খিত মোবাইল অপারেটর সিলেক্ট করে দিতে হবে। তারপর মাঝখানের চিত্রের ২ নং অংশে আপনার মোবাইল ভেরিফিকেশন কোড বসিয়ে দিয়ে ৩ নং অংশের " কনফার্ম করুন" অপশনে ক্লিক করতে হবে। এরপর ডান পাশের চিত্র হতে ৪ নং অংশে আপনার পছন্দমত বিকাশ পিন লিখে দিতে হবে এবং ৫ অংশে পুনরায় পিন নাম্বারটি টাইপ করে ৬ অংশে " কনফার্ম করুন" অপশনে ক্লিক করতে হবে।
উপরের ১ নং অংশের পপ আপ বক্স টিকেটের দিয়ে " কনফার্ম করুন" অপশনে ক্লিক করে ২ নং ও ৩ নং অংশে আগের মত বিকাশ পিন টাইপ করে ৪ নং অংশের " কনফার্ম করুন" অপশনে ক্লিক করতে হবে। তারপর ডান পাশের চিত্রে ৫ নং অংশে আপনার বিকাশ মোবাইল নাম্বার ও ৬ নং অংশে বিকাশ পিন নাম্বার টাইপ করে ৭ কোন অংশের " পরবর্তী অপশনে ক্লিক করুন।
এবার আপনার বিকাশ একাউন্টের নাম লিখে ২ নং অংশের " পরবর্তী" অপশন এ ক্লিক করে মাঝখানে চিত্রের ৩ অংশে আপনার প্রোফাইল ছবি যুক্ত করার পর ৪ নং অংশের " শুরু করুন" অপশনে ক্লিক করলে আপনার বিকাশ একাউন্ট সফলভাবে তৈরি হয়ে যাবে। তারপর ডান পাশের চিত্রের মত আপনার বিকাশ একাউন্টের সকল তথ্য দেখতে পাবেন।
বিকাশ এজেন্ট কি?
বর্তমান সময়ে টাকা লেনদেনের সবচেয়ে সহজ মাধ্যম হল মোবাইল ব্যাংকিং। মোবাইল ব্যাংকিং আমার দেশে এতটাই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে যে, প্রায় ৮০ % মানুষ এখন বিকাশের মাধ্যমে লেনদেন করে। দেশের প্রতিষ্ঠিত প্রায় সব ব্যাংক এখন মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে। যেমন:-ব্র্যাক ব্যাংকের বিকাশ, ইউসিবি ব্যাংকের ইউক্যাশ, ডাচ-বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং ইত্যাদি। তেমনি বিকাশ এজেন্ট হচ্ছে বিকাশ মোবাইল ব্যাংকিং এর একজন প্রতিনিধি। বিকাশের একজন এজেন্ট হওয়ার মাধ্যমে মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবসা করে শতকরা কমিশন টাকা আয় করতে পারেন।
বিকাশ এজেন্ট হতে কত টাকা লাগে?
বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা শুরু করতে খুব বেশি মূলধনের প্রয়োজন পড়ে না। ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকায় শুরু করা যায়। কত টাকা হলে বিকাশ এজেন্ট হতে পারবেন এমন কোন শর্ত বিকাশ রাখেনি। শুধুমাত্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স থাকলে আপনি যেকোন সময় বিকাশ এজেন্ট মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবসা করতে পারবেন।
বিকাশ এজেন্ট হওয়ার জন্য কি কি লাগে?
বিকাশ এজেন্ট হওয়ার জন্য যা লাগে তা নিম্নরূপ:
- যিনি বিকাশ এজেন্ট হতে চান তার পাসপোর্ট সাইজের ২ কপি ছবি।
- জাতীয় পরিচয় পত্র/পাসপোর্ট/ড্রাইভিং লাইসেন্স।
- ট্রেড লাইসেন্স (বাধ্যতামূলক)।
- যোগাযোগ করার জন্য নাম্বার ও ঠিকানা।
- ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের নাম ও ঠিকানা।
বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম-
কেউ যদি বিকাশ মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবসা করতে চাই। তাহলে তাকে অবশ্যই একজন বিকাশ এজেন্ট হতে হবে। বিকাশ এজেন্ট হওয়ার জন্য উপরের উল্লেখিত পেপারস সহকারে আপনার নিকটস্থ যেকোনো বিকাশ কাস্টমার কেয়ারে যেতে হবে। এরপর বিকাশ এজেন্ট হওয়ার আবেদন ফরম ফিলাপ করে জমা দেয়ার অল্প কিছুদিন পর আপনার বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট তৈরি হয়ে যাবে।
এছাড়াও আপনি বিকাশের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে নির্ধারিত ফরম পূরণ করে বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার জন্য অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। উপরের ফরমটি সঠিকভাবে পূরণ করে সাবমিট করার এক সপ্তাহের মধ্যে বিকাশ কাস্টমার কেয়ার থেকে আপনাকে কল করা হবে। তখন আপনার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সহ বিকাশ কাস্টমার কেয়ারে গেলে সাথে সাথে আপনার একটি বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট তৈরি হয়ে যাবে।
বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট কি?
মার্চেন্ট শব্দটি হল একটি ইংরেজি শব্দ যার বাংলা অর্থ হচ্ছে ব্যবসা/বাণিজ্য। মার্চেন্ট একাউন্ট বলতে যেটি বুঝায় সেটি হল একটি বাণিজ্যিক একাউন্ট। যে অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে আপনি আপনার ব্যবসায়িক লেনদেন কার্যাবলী নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।
বিকাশে পার্সোনাল বা ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট এর চেয়ে বেশ কিছু অতিরিক্ত সুবিধা পেয়ে থাকে বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট। মার্চেন্ট একাউন্টের মাধ্যমে বাণিজ্যিক অর্থ লেনদেনের ক্ষেত্রে বেশ কিছু সুবিধা পাওয়া যায়। এর জন্য বাণিজ্যিক ভাবে এই অ্যাকাউন্ট বেশি ব্যবহার হয়ে থাকে। বিকাশের মাধ্যমে পেমেন্ট নেওয়ার জন্য বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খোলা হয়।
বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খোলার জন্য কি কি প্রয়োজন?
বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খোলার জন্য যা প্রয়োজন তা নিম্নরূপ:
- সিম সহ একটি মোবাইল ফোন।
- জাতীয় পরিচয় পত্রে ফটোকপি।
- দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙ্গিন ছবি।
- প্রতিষ্ঠান ট্রেড লাইসেন্স (মেয়াদ থাকতে হবে)।
বিকাশadnad মার্চেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম-
বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খোলার জন্য আপনাকে সর্ব প্রথমে বিকাশের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে। এরপর "মার্চেন্ট" এ ক্লিক করলে নিচের ছবির মত একটি ফল পাবেন এই ফরমটি সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। মার্চেন্ট ফরমটি সঠিকভাবে পূরণ করার পর জমা দিতে হবে।
এরপর বিকাশ কর্তৃপক্ষ বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট ফরমটি পরীক্ষা করে অফিশিয়াল ভাবে অনুমোদন প্রদান করে দিবে। তারপর আপনার সাথে ফরমে উল্লেখিত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করবে এবং আপনাকে নিকটবর্তী তাদের বিকাশ মার্চেন্ট অফিসে আসার অনুরোধ করবে। তারপর আপনাকে নির্ধারিত বিভিন্ন ডকুমেন্ট সহ অফিসে গিয়ে দেখা করতে হবে। সর্বশেষে আপনার সাথে আলোচনার মাধ্যমে আপনার মার্চেন্ট একাউন্ট চালু করে দিতে।
পরিশেষে বলা যায় যে, বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম থেকে শুরু করে বিকাশ সম্পর্কে সকল বিষয়ে আপনি পরিষ্কার ধারণা পেয়েছেন। এরপরও বিকাশ সম্পর্কে কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট বক্সে জানাবেন। আমরা আপনার প্রশ্নের সমাধান করার চেষ্টা করব এবং পোস্টটি ভালো লাগলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন।
Nice
ধন্যবাদ
Nice
ধন্যবাদ
Nice
ধন্যবাদ
Nice
ধন্যবাদ
Nice
ধন্যবাদ
Nice
ধন্যবাদ
Nice
ধন্যবাদ
Nice
ধন্যবাদ
So nice
ধন্যবাদ