ওয়েবসাইট থেকে আয়-ওয়েবসাইট খুলে কিভাবে টাকা আয় করা যায়

ওয়েবসাইট থেকে আয়: আর্টিকেল লেখার শুরুতেই একটা কথা বলে রাখা ভালো। সেটি হলো, আপনি যদি ওই ছাত্রীকে ইনকাম করতে চান। তাহলে আজকের লেখা টি আপনি মনোযোগ দিয়ে পড়বেন। আর যদি আপনার এমন ওয়েবসাইট থেকে টাকা আয় করার ইচ্ছা না থাকে। তবে আপনি এই আর্টিকেলটি স্কিপ করে যেতে পারেন।


কারণ আজকে আমি বিস্তারিতভাবে ওয়েবসাইট থেকে টাকা আয় করার উপায় গুলো নিয়ে আলোচনা করব। আজকের দিনে নিজের একটা ওয়েবসাইট থাকাটা বেশ কমন একটি বিষয়। কেননা, প্রযুক্তির এই যুগে আমরাও নিজেকে অনেকটা পরিবর্তন করে ফেলেছি। সময়ের সাথে তাল মেলানোর জন্য ওয়েবসাইট হলো এমন একটি মাধ্যম যে মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই নিজেকে আত্মপ্রকাশ করতে পারবেন। তবে কোন মানুষ কিসের জন্য ওয়েবসাইট তৈরি করছে। সেটা বড় কথা নয়, বরং অনেক মানুষ আছে। যারা প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ওয়েবসাইট থেকে আয় করে আসছে। এখন আপনি একজন নতুন মানুষ হয়ে কিভাবে এক বা একাধিক ওয়েবসাইট থেকে টাকা ইনকাম করবেন। সে নিয়ে আজকে আমি বিস্তারিত আলোচনা করব।

পোস্ট সূচিপত্র:

সত্যিই কি ওয়েবসাইট খুলে টাকা ইনকাম করা যায়?

এখন কি সত্যি ওয়েবসাইট থেকে টাকা ইনকাম করা যায়? এই প্রশ্নটা শুধুমাত্র আপনার নয় বরং এমন অনেক মানুষ আছে। যাদের মনে প্রশ্ন টি জেগে থাকে। তবে আপনি যদি এই প্রশ্নের উত্তর পেতে চান। তাহলে নিচের আলোচিত বিষয়ের দিকে একটু নজর দিন।
এখন আপনাকে যদি প্রশ্ন করা হয় যে, ফেসবুক কি? তাহলে আপনি হয়তোবা বলবেন ফেসবুক হল জনপ্রিয় একটি সোশ্যাল মিডিয়া। কিন্তু আপনি কি জানেন, ফেসবুকও একটি ওয়েবসাইট। আর এই ওয়েবসাইটটি সারা পৃথিবী জুড়ে বিস্তৃত আছে। আজকের দিনে ফেসবুক দিয়ে মিলিয়ন মিলিয়ন টাকা আয় করছে। সে বিষয়ে তো আর কোনো সন্দেহ নেই। একবার চিন্তা করে দেখুন, আপনার যদি ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম এর মত একটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন। তাহলে কি আপনার লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করা কেউ ঠেকাতে পারবে? না বরং আপনি প্রতিনিয়ত সেই ওয়েবসাইট থেকে টাকা আয় করতে পারবেন।

ওয়েবসাইট খুলে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায়?

উপরে আর্টিকেলটি পড়ার পর আপনি ভাবতে পারেন। আমি চাইলে তো আর ফেইসবুক, টুইটার ইনস্টাগ্রামের মতো ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবোনা। আর একটি ওয়েবসাইট খোলার পর সেটি ফেইসবুক, টুইটার ইনস্টাগ্রামের মত জনপ্রিয় হবে কিনা। সেই সম্পর্কে তো কোন গ্যারান্টি দেওয়া যায় না।
আপনার মনেও যদি এ ধরনের প্রশ্ন ঘুরপাক খায়। তাহলে শুনুন আমি আপনাকে ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রামের মতো কোন দ্বিতীয় সাইট বানানোর পরামর্শ দিব না। কেননা, বর্তমান সময়ে এমন অনেক ধরনের টাকা ইনকাম করার উপায় আছে। যেগুলোর মাধ্যমে আপনি বিলিয়ন না হন। অন্ততপক্ষে ওয়েবসাইট থেকে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করতে পারেন।

এখন জানার বিষয় হল, এমন কোন ধরনের উপায় আছে। যেগুলো অনুসরণ করে আপনিও এই ওয়েবসাইট থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে আর বকবক না করে সরাসরি ওয়েবসাইট থেকে টাকা ইনকাম করার উপায় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

*Google Adsense থেকে টাকা ইনকাম করা

বর্তমান সময়ে যতগুলো ওয়েবসাইট থেকে টাকা ইনকাম করার উপায় আছে। তার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি উপায় হল গুগল এডসেন্স। আপনি যদি আপনার তৈরি করা ওয়েবসাইট দিয়ে গুগলের আন্ডারে কাজ করেন। তাহলে আপনি Google Adsense দিয়ে প্রচুর পরিমাণে ওয়েবসাইট থেকে টাকা আয় করতে পারবেন এবং আপনি গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন এবং আপনার উপার্জিত টাকা গুলো সরাসরি গুগল এর কাছ থেকে উদ্যোগ নিতে পারবেন।

আপনি হয়তো বা এই কথাগুলো শোনার পর অবাক হয়ে গেছেন। হ্যাঁ অবাক হওয়ারই কথা। কারন অনেকেই জানেন না গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা যায়। কিন্তু আমি এখানে কোন প্রকার মিথ্যা কথা বলি নাই। কেননা, আজকের দিনে এমন লক্ষ লক্ষ মানুষ আছে। যারা দীর্ঘদিন ধরে এক বা একাধিক ওয়েবসাইট দিয়ে গুগল এডসেন্স থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা ইনকাম করে আসছে।

আপনিও যদি গুগল এডসেন্স দিয়ে ওয়েবসাইট থেকে টাকা ইনকাম করতে চান। তাহলে আপনাকে বেশ কিছু নিয়ম-কানুন জেনে নিতে হবে। কেননা, টাকা আয় করার জন্য সব পথেই আপনাকে কিছু না কিছু করতে হবে। কেউ আপনাকে এমনিতেই টাকা দিবে না।

* লোকাল বিজ্ঞাপন থেকে আয়

Website থেকে টাকা ইনকাম করার অন্যতম একটি মাধ্যম হলো লোকাল বিজ্ঞাপন থেকে আয় করা। লোকাল বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আপনি অন্য কারো বিজ্ঞাপন আপনার সাইটে দেখিয়ে টাকা আয় করতে পারবেন। আপনি জানেন কি আজকের দিনে যেসব বড় বড় ওয়েবসাইট আছে। যেমন ফেসবুক, টুইটার, গুগোল, ইউটিউব এরা যে পরিমাণ টাকা আয় করে। তার অধিকাংশ আসে লোকাল বিজ্ঞাপন থেকে। এর প্রধান কারণ হলো, যখন আপনি লোকাল কোন কোম্পানি থেকে বিজ্ঞাপন দেওয়ার অফার পাবেন। তখন সেইসব কোম্পানি আপনাকে বিজ্ঞাপনের জন্য অনেক বেশি টাকা দিয়ে থাকে।

এভাবে আপনি যত বেশি কোম্পানির বিজ্ঞাপন এর অফার পাবেন আপনার ওয়েবসাইট থেকে টাকা ইনকামের পরিমাণ ঠিক ততটাই বৃদ্ধি পাবে। তবে আপনি যদি লোকাল বিজ্ঞাপন থেকে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে চান। তাহলে আপনাকে বেশ কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। যেমন:-
  • কোন একটি কোম্পানির তখনই আপনার কাছে অফার করবে। যখন আপনার সাইটে প্রচুর পরিমাণে ভিজিটর থাকবে।
  • আপনি আপনার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যত বেশি অডিয়েন্সকে টার্গেট করতে পারবেন। আপনার ততো বেশি বেড়ে যাবে। তোমাকে।
  • একটি কোম্পানি সেইসব ওয়েবসাইটকে বেশি বেশি বিজ্ঞাপন এটি পছন্দ করেন। যেসব সাইট তাদের নাম দিয়ে অলরেডি অনলাইন মার্কেট ভ্যালু তৈরি করেছে।
লোকাল বিজ্ঞাপন থেকে হোক কিংবা অন্য কোন ওয়েবসাইট থেকে আয় করার উপায় ভালো করে হোক। আপনার যদি পর্যাপ্ত ভিজিটর না থাকে। তাহলে আপনি কোন উপায় ফলো করেই টাকা ইনকাম করতে পারবেন না। তাই আপনাকে শুরু থেকে ভিজিটর এর পেছনে লেগে থাকতে হবে।

* পেইড রিভিউ কনটেন্ট নিয়ে আয়

ওয়েবসাইট থেকে টাকা আয় করার অন্যতম একটি উপায় হল, পেইড রিভিউ কনটেন্ট নিয়ে আয়। ভিডিও কনটেন্ট কিছুটা লোকাল বিজ্ঞাপনের মতো হলেও। এই দুটোর মধ্যে বেশ কিছু পার্থক্য রয়েছে। পেইড কনটেন্ট নিয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া। যাক তাহলে আপনি বুঝতে সুবিধা হবে।

বর্তমানে কিছু কিছু ইউটিউব চ্যানেলে গেলে দেখতে পাবেন। তারা তাদের ভিডিওতে অন্য কারো ইউটিউব চ্যানেলকে সাবস্ক্রাইব করতে বলছে। কখনো কি ভেবে দেখেছেন? তারা কেন নিজের চ্যানেল বাদ দিয়ে অন্য কারো চ্যানেলকে সাবস্ক্রাইব করতে বলছে? এর প্রধান কারণ হলো, এগুলো পেইড রিভিউ। এখন এগুলো ইউটিউব প্লাটফর্মে হরহামেশাই দেখা যায়।

তবে ইউটিউব এর আর আপনার তৈরি করা ওয়েবসাইটের বেশ কিছু পার্থক্য আছে। এর মূল কারণ হলো ontent Base Site নিয়ে কাজ করি। আর সে কারণেই আমাদেরকে কনটেন্ট ভিত্তিক পেইড রিভিউ দিয়ে আয় করতে হবে। তবে আপনি যদি  পেইড রিভিউ কনটেন্ট নিয়ে ওয়েবসাইট থেকে আয় করতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনার ওয়েবসাইটের কিছু গুণাবলি থাকতে হবে। যা আমি উপরে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

*কনটেন্ট রাইটিং সার্ভিস থেকে টাকা ইনকাম

যারা মূলত ওয়েবসাইট থেকে ব্লগিং করে। তারা ভালো করেই জানে যে কন্টেন জিনিসটা কতটা মূল্যবান। কেননা, বর্তমান সময়ে ভূগোল শুধুমাত্র সেই সাইটগুলোকে Top Rank প্রদান করে। চেয়ে ব্লকের মধ্যে হিউজ পরিমান সাজানো-গোছানো কনটেন্ট আছে। এর কারণে এখনকার ফিন্যান্সিং থেকে শুরু করে লোকাল অনলাইন জব পর্যন্ত। প্রায় সব জায়গায় একজন দক্ষ Content Writer কে অনেক টাকা দিয়ে হেয়ার করে থাকে।

এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, একটি মানুষ যদি ওয়েব সাইট থেকে আয় করতে চাই সে ক্ষেত্রে ওই মানুষটি কিভাবে কনটেন্ট রাইটিং করে টাকা ইনকাম করতে পারবে? তাহলে নিচের অংশ পড়ুন..

যখন আপনি একটি কন্টেন সমৃদ্ধ কোন ব্লগ নিয়ে কাজ করবেন। তখন আপনার কনটেন্ট সম্পর্কে অনেক ধারণা তৈরি হবে। আপনার ব্লগে নতুন নতুন আর্টিকেল পাবলিশ করার জন্য আপনাকে প্রচুর পরিমাণে আর্টিকেল লিখতে হবে। এতে করে আপনি একটি সময় আর্টিকেল রাইটিং এর এতটাই দক্ষ হবেন যে আপনার কাছ থেকে মানুষ অনেক টাকার বিনিময় আর্টিকেল কিনে নিবে।

ওয়েবসাইট থেকে টাকা ইনকাম করার অনেক রকমের উপায় রয়েছে। এর প্রধান কারণ হলো, আপনার নিজের সাইটে পাবলিশ করার পাশাপাশি অন্য সাইটের জন্য আর্টিকেল লিখতে পারবেন। আর সেই আর্টিকেল সার্ভিস প্রদান করার মাধ্যমে ওয়েবসাইট থেকে প্রচুর পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারবে।

* অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়

ইউ নো দ্যাট, বর্তমান সময়ে অনলাইন থেকে আয় করার সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি উপায় হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। বর্তমানে এমন লক্ষ লক্ষ ওয়েবসাইট ওনার আছে। যারা তাদের তৈরি করা ওয়েবসাইট থেকে আয় করার জন্য একমাত্র উপায় হিসেবে অ্যাফিলিয়েট এর উপর নির্ভর করে কাজ করে। Affiliate Marketing হল এমন এক ধরনের প্রক্রিয়া। যেখানে আপনি অনলাইন কিংবা অফলাইনে কোন কোম্পানির পণ্য সেল করবেন। আরজে কোম্পানির পণ্য আপনি Sell করবেন। সেই কোম্পানি আপনাকে পণ্য বিক্রি করার বিনিময়ে কিছু টাকা কমিশন দেবে।

যেমন, আপনি যদি কোন প্যান্টের কোম্পানির কোন প্যান্ট ৬০০/-টাকা দিয়ে সেল করে দেন। তাহলে সেই প্যান্ট কোম্পানি আপনাকে খুশি হয়ে ২০০ টাকা দিবে। একেই মূলত অ্যাপলেট মার্কেটিং বলে।

কিন্তু একটি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ওয়েবসাইট থেকে টাকা আয় করার জন্য আপনাকে অনেক কিছু জানতে হবে। অনেক কিছু শিখতে হবে। তাহলে আপনি অ্যাফিলিয়েট করে ওয়েবসাইট থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। যেমন:-

আপনি যদি ওয়েব সাইট থেকে আয় করার জন্য অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চান। তাহলে আপনাকে অবশ্যই উপরোক্ত বিষয়ে ভালো ধারণা থাকতে হবে। তাহলে আপনি অ্যাফিলিয়েট করে অনলাইন থেকে টাকা আয় করতে পারবেন।

*ই-কমার্স ওয়েবসাইট থেকে আয়

এর আগে আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে জানলে। যেখানে আপনি অন্য কোন কোম্পানির Online Shop এর প্রোডাক্ট সেল করে তার বিনিময়ে আপনি কমিশন পাবেন। কিন্তু আপনি যদি একটি অনলাইন কোম্পানির মালিক হয়ে যান তাহলে বিষয়টা কেমন হবে? এই সুযোগটি আপনি একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট এর মধ্যে খুঁজে পাবেন। যেখানে অনলাইন প্লাটফর্মে আপনার একটি কোম্পানী বা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান দাঁড় করাতে পারবেন।

আর আপনি সেই প্রতিষ্ঠানকে নিজের ঘরে বসে পরিচালনা করতে পারবেন। আর এইসব কাজ আপনি একটি মাত্র ওয়েবসাইটের মাধ্যমে করতে পারবেন। আপনি জেনে থাকবেন যে, আজকের দিনে Amazon কিংবা alibaba কিভাবে গোটা বিশ্বের মধ্যে বিস্তৃতি লাভ করেছে। আর এই ধরনের অনলাইন ই কমার্স সাইট গুলোর ইনকাম হয় বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশেও অনেক জনপ্রিয় অনলাইন E-commerce Website চালু আছে। যেমন,Bd Shop,Daraz ইত্যাদি। আপনি যদি ওয়েব সাইট থেকে আয় করার কোনো ভালো উপায় খুঁজে থাকেন। তাহলে আমার দৃষ্টিকোণ থেকে আপনার একটি ই-কমার্স সাইট দিয়ে শুরু করা উচিত।

* নিউজ পোর্টাল থেকে আয়

আজকের দিনে নিউজ পছন্দ করে না এমন মানুষ খুব কমই আছে। যেখানে আমরা ঘন্টার পর ঘন্টা ফেসবুকে সময় ব্যয় করছি এবং সেই কারণে ফেসবুকে পাবলিশ হওয়া নিউজ গুলো দেখতে দেখতে অনেকটা নিউজ এর প্রতি অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন। কিন্তু আপনি কি জানেন, ফেসবুকে এতো News এর মূল কারণ কি?

এর প্রধান কারণ হলো, ফেসবুক থেকে নিউজপোটাল সাইডে ভিজিটর নিয়ে আসা। তাদের প্রথম এবং প্রধান টার্গেট হলো ফেসবুক কিংবা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া যেমন, টুইটার ইনস্টাগ্রাম, লিনকিন ইত্যাদি। আপনি যদি prothom alo,Somoy Tv,Gazi Tv এর মতো ওয়েবসাইট গুলোর দিকে তাকান তাহলে আপনি একটা বিষয়ে দেখতে পাবেন। সেটি হল তারা অনলাইনে মানুষকে নিউজ শুনিয়ে এবং দেখিয়ে প্রতিমাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ওয়েব সাইট থেকে আয় করে আসছে।

আর চাইলে আপনিও এমন একটি নিউজপোটাল সাইট তৈরি করতে পারবেন এবং মানুষকে সেই সাইটের মাধ্যমে Tranding News গুলো শুনে আপনি ও মাসি লক্ষ টাকা আয় করে নিতে পারেন।
বিশেষ দ্রব্য: যদি আপনি একটি প্রফেশনাল মানের নিউজ সাইট তৈরী করতে চান। তাহলে প্রথমে  আপনাকে News Trade Licences নিতে হবে। অন্যথায় আপনি সেই সাইট জ্বালাতে গিয়ে বিপদে পড়ে যাওয়ার চান্স থাকবে।

*স্পনসরর্শিপ থেকে টাকা ইনকাম

বর্তমান সময়ে ওয়েবসাইট থেকে টাকা আয় করার জন্য স্পনসর্শিপ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। যার মাধ্যমে ওয়েবসাইট এর মালিকদের অনলাইন ইনকাম করার একটি নতুন উপায় বের হয়েছে। যে উপায়টি ফলো করে ওয়েবসাইটের মালিকেরা বিপুল পরিমাণ টাকা Sponsorship থেকে আয় করে আসছে।

ধরুন, আপনার একটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট আছে। এখন কোন কোম্পানি আপনার নিকট আসলো এবং বলল যে তাদের কোনো একটি পণ্যকে ভিজিটরদের নিকট স্পন্সর করতে হবে। যেন অনেক মানুষ তাদের পণ্য সম্পর্কে জানতে পারে এবং তাদের পণ্যের প্রতি মানুষের আগ্রহ সৃষ্টি হয়। আর আপনি সেই পণ্যের প্রচার করেই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

আপনি যদি স্পন্সর করে ওয়েবসাইট থেকে আয় করতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনার সাইডে হিউজ পরিমান ভিজিটর থাকতে হবে। একই সাথে ভিজিটর দের সাথে আপনার সাইটের প্রত্যেকটা টস লেভেল থাকতে হবে। আপনার প্রতি ভিজিটরদের যেন বিশ্বাস থাকে এবং আপনি যত বেশি ভিজিটর কেউ অন্য কোন কোম্পানির পণ্যের স্পন্সর করতে পারবেন। আপনার সাইট থেকে ইনকাম এর পরিমাণ ঠিক ততটাই বেশি হবে।

*সাবস্ক্রিপশন ফি থেকে আয়

বর্তমান সময়ে এমন অনেক ওয়েবসাইট আছে। যারা নতুন পদ্ধতি ব্যবহার করে অনলাইন থেকে টাকা আয় করে আসছে। আর সেই পদ্ধতির নাম হলো, সাবস্ক্রিপশন ফি।যখন আপনি আপনার ওয়েবসাইটকে অনেক বেশি জনপ্রিয় করতে পারবেন। যখন সেই সাইটে হিউজ পরিমানে ভিজিটর আসবে ৷
তখন সাবস্ক্রিপশন ফি অনুসরন করে আপনিও বিপুল পরিমান টাকা ওয়েবসাইট থেকে আয় করে নিতে পারবেন।সাবস্ক্রিপশন ফি হলো এমন এক ধরনের পদ্ধতি। যেখানে আপনি আপনার সাইটে সবকিছুই পেইড করে দিবেন। এবং ভিজিটররা যদি আপনার সাইটে থাকা পেইড ফিচার গুলো ব্যবহার করতে চায় ৷সে জন্য তাদেরকে মাসিক/সাপ্তাহিক/বাৎসরিক চার্জ দিতে হবে। মূলত একেই বলা হয়, সাবস্ক্রিপশন ফি।

ধরুন, আপনার একটি জনপ্রিয় ব্লগ সাইট আছে এবং আপনার সেই সাইটে প্রতিদিন হিউজ পরিমানে ভিজিটর আসে আপনার লেখা পড়ার জন্য।এখন আপনি একটু নতুন নিয়ম করলেন। সেটি হলো, কেউ যদি আপনার ব্লগে থাকা লেখাগুলো পড়তে চায়। তাহলে তাকে টাকা দিতে হবে। অন্যথায় যারা টাকা দিবেনা, তারা আপনার ব্লগে এক্সেস নিতে পারবে না।

তবে আপনি আপনার ওয়েবসাইটে সাবস্ক্রিপশন ফি চাইলেন। আর ভিজিটর আপনাকে টাকা দেয়ার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়বে। বিষয়টা আসলে এমন নয়, বরং মানুষ আপনার লেখা পড়ার জন্য তখনি টাকা দিবে।যখন আপনার লেখা থেকে তারা কিছু শিখতে পারবে। তাই সবার আগে আপনাকে আপনার সাইটে এমন কিছু প্রয়োজনীয় টপিক নিয়ে কথা বলতে হবে। যেন সেগুলো পড়ে ভিজিটররা উপকৃত হয়।

*ওয়েবসাইটের গ্রাহকদের ইমেইল বিক্রি করে আয়

আমরা প্রায়ই সময় কিছু নিউজ শুনতে পাই। যেমন, ফেসবুক তাদের ২ লাখ ব্যবহারকারীর তথ্য বিক্রি করে দিয়েছে। কিংবা কখনও কখনও দেখি যে, ওমুক সাইটের অনেক ইউজার এর তথ্য গুলো চুরি হয়ে গেছে।কখনও কি আপনার মনে হয়েছে,একটি ওয়েবসাইট থেকে এমন কোন ধরনের তথ্য গুলো চুরি হয়ে যেতে পারে?

দেখুন, যেসব ওয়েবসাইটে প্রচুর পরিমানে ভিজিটর থাকে। সেই সাইট গুলোতে প্রচুর মানুষের ব্যক্তিগত ডাটা সেভ করা থাকে। যেমন, বর্তমান সময়ে ফেসবুক এর অনেক বেশি ভিজিটর আছে।আর প্রত্যেকটি ফেসবুক ইউজার এর আলাদা আলাদা করে তথ্য দেওয়া আছে।কোনো ব্যক্তি যদি আপনার মতো এমন অনেক ফেসবুক আইডির ব্যক্তিগত তথ্য গুলো কে সংগ্রহ করতে পারে। তাহলে সেই ব্যক্তি এই তথ্য গুলো অন্য কোনো কোম্পানির কাছে বিক্রি করে দিয়ে Online থেকে টাকা আয় করতে পারবে।

আর বিশ্বের বড় বড় হ্যাকাররা মূলত এই তথ্য চুরির কাজটি বেশ ভালোভাবেই করতে পারে। আর ঠিক একই ভাবে আপনিও কিছুটা হলেও এই পদ্ধতি অনুসরন করে ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম করে নিতে পারবেন।
যেমন,যখন আপনার একটি খুব জনপ্রিয় ওয়েবসাইট থাকবে। তখন সেই ওয়েবসাইটে অনেক বেশি ভিজিটর থাকবে। আর যখন আপনার সাইটে প্রচুর পরিমানে ভিজিটর থাকবে।তখন আপনার ওয়েবসাইটে অনেক ইউজার এসে Account Create করবে।

আর এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে আপনিও Online টাকা আয় করতে পারবেন। কারন একটি সাইটে একাউন্ট তৈরি করার জন্য অবশ্যই Gmail account এর দরকার হয়ে থাকে। আর এই ধরনের মানুষ এর জিমেইল আইডি কিনে নেয়ার জন্য অনেকেই প্রস্তুত হয়ে আছে। আপনি যদি আপনার সাইটের ইউজার এর ইমেইল গুলো তাদের কাছে সেল করেন।তাহলে আপনি এই পদ্ধতি অনুসরন করে অনেক টাকা ওয়েবসাইট থেকে টাকা আয় করে নিতে পারবেন। 

* সার্ভিস বিক্রি করে আয়

আপনি যখন দীর্ঘদিন ধরে ওয়েবসাইটে কাজ করবেন। তখন আপনার নিজের মধ্যে এমন অনেক অভিজ্ঞতা জন্মাবে। সেগুলোর সার্ভিস প্রদান করে আপনি অনলাইন থেকে টাকা আয় করতে পারবেন। যদি আপনি কয়েক বছর ধরে ওয়েবসাইট না কাজ করেন। তখন বিভিন্ন ধরনের দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন। ধরুন, আপনি সফটওয়্যার ডেভলপার,Seo, ডিজিটাল মার্কেটিং ইত্যাদি সার্ভিস বিক্রি করে অনলাইন থেকে টাকা আয় করতে পারেন।

* ওয়েবসাইট বিক্রি করে টাকা আয়

বাজারে যেমন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কেনাবেচা করা হয়। ঠিক তেমনি Website কেনাবেচা করা হয়ে থাকে। বর্তমান সময়ে আপনি যদি কোন ওয়েবসাইট কেনাবেচা করার কাজটি করেন। তাহলে আপনি সেখান থেকে বেশ ভালো পরিমাণে টাকায় করে নিতে পারবেন।

ধরুন, আপনি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করলেন এবং সেই সাইটে নিত্যনতুন কনটেন্ট পাবলিশ করলেন এবং সেই সাইটে গুগল এডসেন্স কিংবা অন্যান্য কোন এড নেটওয়ার্ক দিয়ে অ্যাপ্রভাল নিলেন। এখন আপনি যদি ওই ছাত্রীকে অন্য কোন মানুষের নিকট বিক্রি করে দেন তাহলে আপনি সেই সাইটের পেছনে যে টাকা ব্যয় করেছেন তার থেকেও বেশি টাকা দিয়ে ওই সাইটি সেই করে দিতে পারবেন।

মজার বিষয় হলো বর্তমান সময়ে এমন অনেক মানুষ আছে। যারা মূলত ওয়েবসাইট সেল করে টাকা ইনকাম করে আসছে। তাই আপনার যদি ওয়েবসাইট থেকে টাকা আয় করার উপায় গুলো অনুসরণ করতে চান তাহলে আপনিও ওয়েবসাইট সেল করে টাকা আয় করে নিতে পারবেন।

আশা করি আজকের আলোচিত ওয়েবসাইট থেকে টাকা আয় করার উপায় গুলো আপনি ভালো ভাবে বুঝতে পেরেছেন। এমন নতুন নতুন তথ্য জানতে হলে অবশ্যই jorip24.com এর সাথে থাকবেন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
6 জন কমেন্ট করেছেন ইতোমধ্যে
  • Faruk
    Faruk March 12, 2022 at 5:25 AM

    Nice information

    • jorip
      jorip March 12, 2022 at 7:39 PM

      ধন্যবাদ আপনাকে

  • Faruk
    Faruk March 15, 2022 at 8:38 AM

    Gd

    • jorip
      jorip March 15, 2022 at 12:10 PM

      thank you so much

  • Ridoy
    Ridoy March 23, 2022 at 2:09 AM

    So beautiful

    • jorip
      jorip March 23, 2022 at 9:03 AM

      ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

জরিপ টোয়েন্টিফোর ডটকম এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url