মহিলাদের তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার নিয়ম
আসসালামু আলাইকুম, আশা করি ভাল আছেন। আজকে এই পোস্টে আলোচনা করব মহিলাদের তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার নিয়ম নিয়ে। তাহাজ্জুদ নামাজ অন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মত ফরজ নামাজ নয়।
তাই তাহাজ্জুদ নামাজ না পড়লেও কোন গুনাহ হয় না। প্রত্যেক মুসলমান ব্যক্তিকে পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ আদায় করতে হয়। কেউ যদি ফরজ নামাজ আদায় না করে তাহলে সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।কেউ যদি তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করে তাহলে তার কোনো গুনাহ হয় না, কিন্তু অনেক সওয়াব হয়। তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত ও অনেক বেশি। কারণ অন্যান্য সুন্নত ও নফল নামাজের মধ্যে তাহাজ্জুদ নামাজ অন্যতম। তাহাজ্জুদ নামাজ পুরুষ ও মহিলা সকলেই পড়তে পারে। আল্লাহ তায়ালা পুরুষ মহিলা সবাইকে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। পুরুষ ও মহিলাদের মধ্যে তাহাজ্জুদ নামাজের কোন পার্থক্য নেই।
অনেক মহিলারাই তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার নিয়ম জানে না। তাই এই আর্টিকেলে আলোচনা করব মহিলাদের তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে। মহিলাদেরকে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তে হলে প্রথমে তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত করতে হবে।প্রত্যেক ব্যক্তি তার ইচ্ছে অনুযায়ী তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতে পারবে। যে যত বেশি রাকাত নামাজ আদায় করে তার সওয়াব তত বেশি হয়। তাহাজ্জুদের নামাজ দুই রাকাত করে পড়তে হয়।
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন, "ফরজ নামাজের পর সব নফল নামাজের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হলো তাহাজ্জুদ নামাজ।" (মুসলিম, তিরমিজি, নাসাঈ)
আল্লাহ তাআলা নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে বিশেষ ভাবে রাতে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। আল্লাহ তাআলা বলেন-"হে চাদর আবৃত, রাতের সালাতে দাঁড়াও কিছু অংশ ছাড়া।" (সুরা মুজাম্মিল : আয়াত ১-২)
প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) প্রতি ইসলামের প্রাথমিক যুগে ৫ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ হওয়ার আগে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায়ের নির্দেশ দেন। প্রিয়নবীর প্রতি কিছু সময় নামাজ পড়ার নির্দেশ ছিল না বরং রাতের কিছু সময় ছাড়া সারারাত জেগে তাহাজ্জুদ আদায়ের নির্দেশ ছিল।
যারা বিনা হিসাবে জান্নাতে যেতে পারবেন, তাদের মধ্যে এক শ্রেণির মানুষ হলেন, যারা যত্নের সঙ্গে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করেন। কুরআনের বিভিন্ন সুরায় তাহাজ্জুদ নামাজের প্রতি তাগিদ দেয়া হয়েছে। তাই প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) পর সাহাবায়ে কেরাম, তাবেয়ি, তাবে-তাবেয়িসহ সব যুগের ওলি ও বিদ্বানরা তাহাজ্জুদ নামাজে রাত কাটিয়ে দিয়েছেন।
তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত
বাংলা উচ্চারণঃ “নাওয়াইতু আন উছোয়াল্লিয়া লিল্লাহি তা’আলা রাকাতাই ছলাতিত তাহাজ্জুদী সুন্নাতু রাসুলিল্লাহি তা’আলা মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবার।”
অর্থঃ “আমি আল্লাহর ওয়াস্তে কেবলার দিকে মুখ করিয়া তাহাজ্জুদের দু-রাকআত সুন্নাত নামাজের নিয়ত করিলাম। আল্লাহু আকবার।
তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার নিয়ম
নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) দুই রাকাআত করে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতেন। যে কোনো সুরা দিয়েই তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া যায়। তবে তিনি লম্বা কেরাতে নামাজ আদায় করতেন। তাই লম্বা কেরাতে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা উত্তম।
- তাকবিরে তাহরিমা ‘আল্লাহু আকবার’ বলে নিয়ত বাঁধা।
- অতঃপর ছানা পড়া।
- সুরা ফাতেহা পড়া।
সুরা মিলানো তথা কেরাত পড়া। নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) অনেক লম্বা কেরাত পড়তেন। অতঃপর অন্যান্য নামাজের ন্যায় রুকু, সেজদা আদায় করা। এভাবেই দ্বিতীয় রাকাআত আদায় করে তাশাহহুদ, দরূদ ও দোয়া মাছুরা পড়ে সালাম ফেরানোর মাধ্যমে নামাজ সম্পন্ন করা। এভাবে দুই রাকাআত করে ৮ রাকাআত তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা উত্তম।
এরকম পোস্ট আরও চাই
ইনশাআল্লাহ
Beautiful post
ধন্যবাদ