চুল পড়া বন্ধ করার উপায়-চুল পড়া রোধ করার ঘরোয়া উপায়

চুলের সমস্যার মধ্যে সর্বপ্রথম যে সমস্যাটি কমবেশি সবার মধ্যেই দেখা যায় সেটা হলো চুল পড়া। আপনিও কি নিয়মিত চুল পড়ার সমস্যায় ভুগছেন? তাহলে চলুন আজকের আটিকেলে আপনার জন্য চুল পড়া বন্ধ করার উপায় নিয়ে আলোচনা করবো।
আমাদের মাথা থেকে প্রতিদিন ৫০-১০০ টা চুল পড়ে যাওয়া একেবারে স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু চুল পড়ে যদি এর থেকে বেশি মাত্রায় পড়তে শুরু করে তাহলে চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। 

উজ্জ্বল-সুন্দর চুলের অধিকারী হতে চান সব প্রত্যেকেই। কিন্তু অকালে চুল পড়া, সেই প্রত্যাশিত স্বপ্নের পথে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়ায়। চুল ঝরে যাওয়ার এই প্রকট সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হলে, আপনাকে চুল পড়া বন্ধ করার উপায় জানতে হবে। তারপর সেই অনুযায়ী কাজ করতে পারলে, চুল পড়া বা অসময়ে টাক হওয়া থেকে বেঁচে যাবেন আপনি। তো চলুন জানা যাক, চুল ঝরে যাওয়ার ও চুল পড়া বন্ধ করার উপায় ।

চুল পড়ার কারণ-

বিভিন্ন কারণে চুল পড়াতে পারে যেমন- পরিবেশ দূষণ, বয়স, স্ট্রেস, স্মোকিং, পুষ্টির অভাব, হরমোনাল ইমব্যালেন্স, জেনেটিক কারণ, স্কাল্প ইনফেকশন, হেয়ার প্রডাক্টের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার, ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে, থাইরয়েড, অটোইমিউন ডিজজ, Polycystic ovarian syndrome, অ্যানিমিয়াসহ নানা কারণেই চুল পড়া বেড়ে যেতে পারে।

এক্ষেত্রে যত শিগগির সম্ভব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে, না হলে কিন্তু মাথা ফাঁকা হয়ে যেতে খুব বেশি সময় লাগবে না। এখানে এমন কিছু ঘরোয়া উপায় বাতলে দেওয়া হলো, যেগুলো ব্যবহার করলে চুল পড়া কমবে লক্ষণীয়ভাবে।

এমন কয়েকটি ঘরোয়া উপায় ও তার গুণাগুণ যেগুলো খুব সহজেই আপনার চুল পড়া রোধ করবে। তাহলে আর দেরি না করে চলুন দেখে নেওয়া যাক চুল পড়া বন্ধ করার উপায় –

মেথি-

চুল পড়ার অনেক কারন হতে পারে। তবে চুল পড়া বন্ধ করার উপায় হিসেবে মেথি ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। রাতে ঘুমনোর আগে মেথি জলে ভিজিয়ে রাখুন এবং সকালে মেথির জল ঝরিয়ে নিয়ে একটা ঘন পেস্ট বানিয়ে নিন। তারপর ঐ পেস্টটি সারা মাথায় আর চুলে লাগিয়ে নিন। ১ ঘণ্টা রেখে যখন দেখবেন একটু শুকিয়ে এসেছে তখন জল দিয়ে ভালো করে মাথাটা ধুয়ে ফেলুন। ভালো ফল পেতে চাইলে এই পেস্টটি মাসে অন্তত ২ বার ব্যাবহার করুন। দেখবেন অনেকটাই চুল পড়া কমে গিয়েছে।

পেঁয়াজ -

পেঁয়াজ আমাদের প্রত্যেকের ঘরেই থাকে। তবে জানেন কি পেঁয়াজ কিভাবে চুল পড়া রোধ করে? যদি আপনার চুল অনেক বেশি পড়ছে বলে আপনার কাছে মনে হয় তাহলে এই ঘরোয়া টোটকা টি আপনার জন্য বেস্ট অপশন।

পেঁয়াজে থাকা সালফার হেয়ার ফলিকেলসে রক্ত চলাচল বাড়িয়ে দিয়ে নিমেষে চুল পড়া কমিয়ে দেয়। এখানেই শেষ নয়, পেঁয়াজের রসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রপার্টিজ, যা স্কাল্পে ঘর বেঁধে থাকা জীবাণুদের মেরে ফেলে। ফলে স্কাল্প ইনফেকশনের সঙ্গে সঙ্গে চুল পড়ার অশঙ্কাও হ্রাস পায়। কীভাবে চুলে লাগাবেন পেঁয়াজের রস? ১ টা পেয়াজ থেকে রস সংগ্রহ করে নিন।

তারপর সেই রস সরাসরি মাথায় লাগিয়ে মাসাজ করুন। তারপর ৩০ মিনিট পরে শ্যাম্পু করে নিন। প্রসঙ্গত, সপ্তাহে ২-৩ বার এই পদ্ধতিতে চুলের পরিচর্যা করলে ফল পাবেন একেবারে হাতে-নাতে। এটি শুধু আপনার চুল পড়া বন্ধ করবে না সাথে চুলে একটা ন্যাচারাল কন্ডিশনার অ্যাড করবে আর চুল রাখবে ফুরফুরে।

ডিমের পুষ্টি -

ডিমে সালফার, ফসফরাস, সেলেনিয়াম, আয়োডিন, জিঙ্ক আর প্রোটিনের মাত্রা বেশি থাকে যা চুল পড়া রোধ করে চুল বৃদ্ধির হার বাড়িয়ে দেয়। হেয়ার ফল কম করতে ডিমের হেয়ার মাস্ক খুবই উপকারী একটি ঘরোয়া টোটকা। একটা কাচের বাটিতে ডিমের সাদা অংশ, এক চা-চামচ অলিভ অয়েল আর এক চা-চামচ মধু মিশিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে নিন। তারপর মিশ্রণটি ভাল করে ফুটিয়ে নিয়ে চুলের গোড়া থেকে আগা ভাল করে লাগিয়ে নিন। ২০ -৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু দিয়ে চুলটা ধুয়ে ফেলুন। এই হেয়ার প্যাক গুলো একটু মেসি হয়। তাই এগুলো বাথরুম এ যেয়ে ব্যবহার করলে ভালো হয়।

আমলকি -

চুল পড়া বন্ধের পাশপাশি চুলের সংখ্যা বৃদ্ধিতে আমলকির কোনও বিকল্প হয় না। কারণ এতে উপস্থিত ভিটামিন সি চুলের পুষ্টি বৃদ্ধি করে, সেই সঙ্গে স্কাল্পের স্বাস্থ্যেরও উন্নতি ঘটায়। ফলে চুল পড়ার প্রবণতা কমে। প্রসঙ্গত, দেহে ভিটামিন-সি-এর ঘাটতি দেখা দিলে চুল পড়া বেড়ে যায়।

তাই এই ভিটামনটির ঘাটতি যেন কখনও না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখাটা একান্ত প্রয়োজন। যারা আমলকি খেতে পছন্দ করেন না তারা অন্যভাবে আমলকি ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে প্রথমে ১ চামচ আমলকির রসের সঙ্গে ১ চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর সেই মিশ্রনটি ভাল করে চুলে লাগিয়ে সারা রাত রেখে দিয়ে পরদিন সকালে ধুয়ে ফেলতে হবে।

তেল মাসাজ -

চুল পড়া বন্ধে প্রতিদিন তেল মাসাজ করাটা জরুরি। প্রতিদিন তেল মাসাজ করলে মাথার ত্বকে রক্ত প্রবাহ খুব বেড়ে যায়। ফলে চুলের গোড়া আরও শক্তপোক্ত হয়। আর একবার চুলের গোড়া মজবুত হয়ে গেলে চুল পড়া স্বাভাবিক ভাবে কমে যায়। এক্ষেত্রে নারকেল তেল, বাদাম তেল, অলিভ অয়েল অথবা আমলার তেল ব্যবহার করতে পারেন।

অ্যালোভেরা -

এতে রয়েছে এমন কিছু এনজাইম, যা চুলের বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। ফলে চুল পড়লেও মাথা ফাঁকা হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে না। অ্যালোভেরার উপকারিতা কিন্তু এখানেই শেষ হয়ে যায় না। এতে উপস্থিত অ্যালকেলাইন প্রপার্টিজ স্কাল্পের পি এইচ লেভেল ঠিক রাখতে সাহায্য করে। ফলে চুল পড়ার হার কমে।

কীভাবে ব্যবহার করতে হবে এই প্রকৃতিক উপাদানটিকে? পরিমাণ মতো অ্যালোভেরা জেল নিয়ে স্কাল্পে লাগিয়ে ফেলুন। কয়েক ঘন্টা অপেক্ষা করে হালকা গরম জলে ভাল করে মাথাটা ধুয়ে নিন। এছাড়াও সপ্তাহে ৩-৪ বার এই ভাবে অ্যালোভেরা পানি মাথায় লাগালে দারুন উপকার পাওয়া যায়।

নিম পাতার রস -

নিম গাছ হল আল্লাহ প্রদত্ত প্রকৃতির এক অনন্য উপকারী এমন এক আশীর্বাদ যাতে প্রয়োজনীয় সব উপাদান স্তরে স্তরে সাজানো রয়েছে। এটিতে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ফাংগাল, অ্যান্টি-ভাইরাল, অ্যান্টি-সেপটিক, অ্যান্টি-ডায়াবেটিক ও সেডাটিভ প্রাকৃতিকভাবেই বিদ্যমান। 

চুল পড়া বন্ধ করার উপায় হিসেবে নিম পাতার কোন তুলনা হয়না। তাজা নিম পাতা পানিতে ফুটিয়ে সিদ্ধ করে রস বের করুন। তারপর ঠাণ্ডা করে তা দিয়ে আপনার চুল এবং মাথার ত্বক ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ১ থেকে ২ বার এই প্রক্রিয়াটি অনুসরন করুন।

মধু এবং জলপাই তেল -

একটি পাত্রে ২ টেবিল চামচ মধু এবং ২ টেবিল চামচ জলপাই তেল নিন। মধু এবং জলপাই তেল ভালো করে মিশিয়ে নিন। তারপর এতে ১ টেবিল চামচ দারুচিনির গুঁড়া ভাল করে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। মিশ্রণটি চুলে এবং মাথার ত্বকে মেখে ২০ থেকে ২৫ মিনিট রেখে দিন। নতুন চুল গজানোতে বেশ কার্যকর এই ওষুধ।

ঘৃতকুমারীর রস এবং নিমের পেস্ট -

ঘৃতকুমারীর রসের সাথে শুকনো নিম পাতার চূর্ণ নিন। ভালোভাবে মেশান। তারপর কয়েক ফোঁটা ভেষজ আমলার তেল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। পেস্টটি আপনার মাথার ত্বকে এবং প্রতিটি চুলের গোঁড়ায় ভাল ভাবে মাসাজ করুন। পেস্টটি আধা ঘণ্টা রেখে তারপর ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ১ থেকে ২ বার এটি ব্যবহার করুন।

তামাকের রস -

নিয়মিত শ্যাম্পুর সাথে কয়েক ফোঁটা তামাকের রস মিশিয়ে ব্যবহার করলে তা চুলপড়া রোধে অত্যন্ত কার্যকর হয়।

চা পাতার নির্যাস -

লেবুর রসের সাথে চা পাতার নির্যাস মিশিয়ে তা দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এটি আপনার চুলের স্বাস্থ্য রক্ষা এবং চুল পড়া রোধ করবে।

নারিকেলের দুধ-

নারিকেলের দুধ চুলের জন্য একটি উচ্চমানের পুষ্টি উপাদান যা মাথার ত্বক নারিশ করে চুলের গ্রোথ বাড়িয়ে তোলে। চুল পড়া বন্ধে আপনি নারিকেল বেটে তার রস চুলের গোঁড়ায় ম্যাসাজ করলে চুল পড়া রোধ হয়। নারিকেলের দুধ চুল পড়া বন্ধ করার উপায় হিসেবে একটি অন্যতম সহজ ও কার্যকরী উপাদান।

মেহেদি-

সেই প্রাচীন কাল থেকে চুলের যত্নে মেহেদির ব্যবহার হয়ে আসছে। আপনি চুল পড়া কমাতে মেহেদিও ব্যবহার করতে পারেন। অনেকের ধারণা বেশি বেশি শ্যাম্পু করলে চুল পড়ে যায় আর এই ধারণা থেকে তারা ঠিকঠাক চুল পরিষ্কার করা থেকে বিরত থাকেন। যার ফলাফল নোংরা ও অপরিষ্কার চুল থাকার ফলে এমনিতেই চুল পড়তে শুরু করে। তাই সব সময় চুল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন।

গ্রিন-টি-

চুল পড়া রোধে নিশ্চিন্তে গ্রিনটি ব্যবহার করতে পারেন। দুইটি গ্রিনটি ব্যাগ নিয়ে ১ কাপ পানিতে ফুটিয়ে সেই পানি ঠাণ্ডা করে মাথায় ও চুলে লাগান। এটি ১ ঘণ্টা আপনার চুলে রেখে পরে ধুয়ে ফেলুন।

ভিটামিন-ই ক্যাপস্যুল-

চুলের যত্নের জন্য চুলের দৈর্ঘ্য অনুযায়ী অলিভ অয়েল নিয়ে এতে ১টি ভিটামিন ই ক্যাপস্যুল ভেঙ্গে নিন। তারপর হালকা গরম করে মাথার ত্বকে ভালোভাবে লাগান এবং ৩০ মিনিট রেখে চুল ধুয়ে ফেলুন। সবচেয়ে ভালো ফলাফলের জন্য পুরোরাত এই মিশ্রণটি মাথায় লাগিয়ে রেখে সকালে চুল ধুয়ে ফেলুন। এটি সপ্তাহে ২/৩ দিন ব্যবহার করুন।

এগুলো ছাড়াও কয়েকটি সাধারন জিনিস আপনাকে মানতে হবে যেমন – চুলে হট অয়েল/অয়েল মাসাজ করুন, প্রতিদিন অন্তত ৮ গ্লাস জল পান করুন, ভেজা চুল কখনই আঁচড়াবেন না, মাঝে মধ্যে চুল ট্রিম করিয়ে নেবেন, ভেজা চুল রেখে শুয়ে পড়বেন না,জাঙ্ক ফুড বেশি না খাওয়া ভালো, চুলে বেশি গরম বা হিট প্রয়োগ করবেন না,শোয়ার আগে অবশ্যই চুল বেধে ঘুমাবেন,পরিষ্কার কুশন ব্যবহার করুন।

চুল পড়া রোধ করার ঘরোয়া উপায়

১. নিয়মিত চুল ধোয়া ও মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখার মাধ্যমে চুল পড়া রোধ করার একটি অংশ। এটি করে আপনি সংক্রমণ এবং খুশকি হওয়ার ঝুঁকি কমিয়ে দিচ্ছেন যা চুল ভেঙে বা ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। তদুপরি, পরিষ্কার চুল আরও ভলিউমের ছাপ দেয়।

২. ভিটামিনগুলো সামগ্রিক সুস্থতার জন্য কেবল স্বাস্থ্যকরই নয়, আপনার চুলের জন্যও ভাল। ভিটামিন এ মাথার ত্বকে সিরামের স্বাস্থ্যকর উত্পাদনকে উত্সাহ দেয়, ভিটামিন ই চুলের ফলিকগুলি উত্পাদনশীল রাখতে এবং ভিটামিন বি চুলের স্বাস্থ্যকর রঙ বজায় রাখতে সহায়তা করে মাথার ত্বকে রক্ত ​​সঞ্চালনকে আরও ভাল করে তোলে।

৩. যাঁরা বেশ কিছুদিন ধরে চুল পড়ার সমস্যায় পড়ছেন তাদের অবশ্যই কয়েক মিনিটের জন্য প্রয়োজনীয় তেল দিয়ে মাথার ত্বকে মাসাজ করতে হবে। এটি আপনার চুলের ফলিকগুলো সক্রিয় রাখতে সহায়তা করে। আপনি চাইলে বাদাম বা তিলের তেলে ল্যাভেন্ডার যুক্ত করতে পারেন।

৪. চুল ভিজে গেলে দুর্বল অবস্থায় থাকে। তাই ভেজা চুল ব্রাশ করা থেকে এড়িয়ে চলুন কারণ এতে চুল পড়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তবে আপনার যদি অবশ্যই ভেজা চুলগুলো চিরুনি দেয় তবে খুব প্রশস্ত দন্তযুক্ত চিরুনি ব্যবহার করুন। চুল ঘন ঘন চুল ক্ষতি করতে এবং ক্ষতি বাড়াতে পারে তাই চুল ঘন ঘন চুল ব্রাশ করা থেকে এড়িয়ে চলুন।

৫. গবেষণায় দেখা গেছে  চুলে গ্রিন টি মাখানো চুল পড়া সমস্যা রোধ করতে পারে। আপনাকে যা করতে হবে তা হ’ল ১ কাপ পানিতে ২ ব্যাগ গ্রিন টি তৈরি করুন, ঠান্ডা হতে ছেড়ে তারপরে, এটি আপনার চুলে লাগান। এক ঘন্টা পরে আপনার চুল ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। ফলাফলগুলো দেখতে এক সপ্তাহ থেকে দশ দিন নিয়মিত অনুশীলন করুন।

৬. প্রতিদিন শারীরিক ক্রিয়াকলাপের জন্য সময় দিন। দিনে 30 মিনিটের জন্য হাঁটুন, সাঁতার বা বাইক হরমোনীয় মাত্রা ভারসাম্য বজায় রাখতে, চুল পড়া কমাতে চাপের মাত্রা হ্রাস করতে সহায়তা করে।

৭. ধূমপানের ফলে মাথার ত্বকে রক্তের পরিমাণ কম প্রবাহিত হয় এবং চুলের বৃদ্ধি কমে যায়।

৮. অতীতের গবেষণাগুলো চুল পড়ার সাথে মানসিক চাপ যুক্ত করার চিকিৎসার প্রমাণ পেয়েছে। নিজেকে ডি-স্ট্রেস করুন; এটি করার অন্যতম উপায় হ’ল ধ্যান অনুশীলন করা।

৯. চুল পড়ার জন্য দায়ী হিসেবে প্রতীয়মান হতে পারে আপনার শরীরের পানি ঘাটতি বা কম পানি পান করার প্রবণতা। চুল পড়া রোধ করতে চাইলে সবার আগে শরীরকে পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ করুন। আপনার এই ছোট্ট চেষ্টা টুকুই চুল পড়া কমিয়ে তুলবে।

১০. চুল পড়া বন্ধ করতে মেথি আপনার উপকারে আসতে পারে। ১ টেবিল চামচ মেথি সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে উঠে বেঁটে তা মাথায় লাগান। হালকা ম্যাসাজ করে আধাঘণ্টা পর চুল ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন চুল পড়ার পরিমাণ কমে গেছে।

১১. মাথায় নতুন চুল গজাতে কালোজিরার তুলনা হয় না। বর্তমানে বাজারে হরহামেশাই কালোজিরার তেল কিনতে পাওয়া যায়। আপনি চাইলে মাথায় কালোজিরার তেল ব্যবহার করতে পারেন আবার ইচ্ছে করলে কালোজিরা খেতেও পারেন।

গবেষণায় দেখা গেছে যে, আমাদের রক্তের PH লেবেল এসিডক হবার কারণে চুল পড়ে যাচ্ছে। আমাদের রক্তের PH,লেবেল নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তাহলে আমরা চুল পড়া রোধ করতে পারব ইনশাল্লাহ।

উপসংহার

চুল পড়া বন্ধ করার বিস্তারিত যত উপায় আছে সবকিছু এই পোস্টে জানতে পারলেন। আপনি যদি এইভাবে চুলের যত্ন করতে পারেন তাহলে নিশ্চিতভাবে আপনার চুল পড়া সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। আপনার মনে যদি আরো কোন প্রশ্ন থাকে বা আমাদের পোস্ট সম্পর্কে কোন মতামত জানাতে চান তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করুন। আমরা আপনার প্রশ্ন বা মতামত খুবই গুরুত্বের সাথে দেখব। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
7 জন কমেন্ট করেছেন ইতোমধ্যে
  • Ridoy
    Ridoy September 13, 2022 at 11:33 AM

    Nice post

    • jorip
      jorip September 15, 2022 at 6:45 AM

      ধন্যবাদ

  • Amirulshapla
    Amirulshapla September 14, 2022 at 12:54 AM

    beautiful

    • jorip
      jorip September 15, 2022 at 6:45 AM

      ধন্যবাদ

  • Manik7575@gmail.com
    Manik7575@gmail.com September 14, 2022 at 1:22 AM

    wonderful

    • jorip
      jorip September 15, 2022 at 6:45 AM

      ধন্যবাদ

  • Munkashir Hossen
    Munkashir Hossen April 14, 2023 at 3:37 AM

    বাহ, বেশ ভাল। এত বিস্তরিত কোন ব্লগে পাই নি। ভাল লেগেছে আপনার লিখা। আশাকরি কাজে দেবে। অনেক দিন ধরেই চুল পড়া সমস্যা। ধন্যবাদ আপনাকে।

মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

জরিপ টোয়েন্টিফোর ডটকম এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url