ডাবের পানির উপকারিতা ও অপকারিতা
ডাবের ভেতরের স্বচ্ছপানি পানীয় হিসেবে অত্যন্ত সুস্বাদু। তবে ডাবের পানির উপকারিতার কথা সবাই জানলেও ডাবের পানির অপকারিতার কথা অনেকেই জানেন না।
‘ট্রু লাভ ইজ ওয়ান কোকোনাট অ্যান্ড টু স্ট্র।’(True love is one coconut and two straws.) মানে একটি ডাব আর দুটি স্ট্র-ই হলো সত্যিকারের ভালোবাসা। কথা মন্দ নয়। সামনে নীল জল রেখে বালুকাবেলায় ২ জন মানুষ ১ টি ডাব খাবে ২ টি স্ট্র দিয়ে এর চেয়ে রোমান্টিক দৃশ্য আর কী হতে পারে? ইংরেজিতে ‘ডেফিনেশন অব টেস্টিং প্যারাডাইস’ বলে একটা কথা আছে। সেটা বলা হয় ডাবের পানির স্বাদ বোঝাতে। বুঝতেই পারছেন, শুধু আপনি নন। পৃথিবীর জনসংখ্যার এক বিশাল অংশের মানুষ ডাবের পানির স্বাদে বিমোহিত হয়ে আছে। কিন্তু কারণটা কী?
স্বাদ বা রোমান্টিকতাই শুধু নয়। ডাবের পানির আছে বিশাল স্বাস্থ্যগুণ। নিয়মিত ডাবের পানি খেলে শরীর হবে বিষমুক্ত। আর অনেক রোগ ধীরে ধীরে সরে যাবে শরীর থেকে।
পোস্ট সূচিপত্র:
- ত্বকের জন্য ডাবের পানির উপকারিতা
- গর্ভাবস্থায় ডাবের পানির উপকারিতা
- রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ
- ওজন নিয়ন্ত্রণে ডাবের পানির উপকারিতা
- কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি
- ডাবের পানি শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করে
- গর্ভাবস্থায় ডাবের পানি যা করতে পারে
- গরমে ডাবের পানির উপকারিতা
- শরীরে পানির ভারসাম্য রক্ষা করতে পারে
- ডাবে আঁশ থাকে বলে হজমে সহায়তা করে
- খালি পেটে ডাবের পানি খাওয়া কি উচিত
- ডাবের পানির উপকারিতা
- ডাবের পানির অপকারিতা
- ডাবের পানি খাওয়ার নিয়ম
- ডাবের পানির উপাদান
- ডাবের পানি পানে সতর্কতা
- শেষ কথা
ত্বকের জন্য ডাবের পানির উপকারিতা
হিন্দি ছবির নায়িকা মমতা কুলকার্নিকে নিয়ে সেই নব্বইয়ের দশকে একবার বেশ গুজব রটেছিল। কোনো এক সিনেমার সেট থেকে তিনি নাকি চলে এসেছিলেন। কারণ মমতা প্রতিদিন ডাবের পানির ব্যবস্থা করতে বলেছিলেন মুখ ধোয়ার জন্য। কিন্তু প্রযোজকের সে ব্যবস্থা ছিল না। বিষয়টি কিন্তু মোটেই বাড়াবাড়ি নয়।
প্রাকৃতিক ভিটামিন ও খনিজে ভরপুর ডাবের পানি খেলে ও তা দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করলে ত্বকের যে অনেক উপকার হয় সেসব বিষয়ে বিস্তর গবেষণা হয়েছে বিভিন্ন দেশে। এটি ত্বকে পানির ভারসাম্য বজায় রাখে এবং আর্দ্রতা ধরে রাখে। অ্যামিনো অ্যাসিড ও শর্করা থাকে বলে এটি শুষ্ক ত্বকে পুষ্টি জোগায় ও আর্দ্রতা বজায় রাখে। মাউন্ট সিনা স্কুল অব মেডিসিনের একদল গবেষক জানিয়েছেন, ডাবের পানিতে ইলেকট্রোলাইট উপাদান থাকে। ফলে এটি দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করলে ত্বক মসৃণ হয়।
২০১৭ সালের একটি প্রাথমিক গবেষণা জানাচ্ছে, ডাবের পানিতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকে। ফলে এটি ব্রণ হওয়ার হাত থেকে ত্বক রক্ষা করতে পারে। তবে এটিও বলা হয় যে, এর কোনো প্রমাণ নেই। বরং বিশেষজ্ঞরা বলেন, ডাবের পানি দ্রুত ব্রণ দূর করতে সহায়তা করলেও করতে পারে। ডাবের পানি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সিস্টেমকে উন্নত করতে সহায়তা করে। ফলে এটি ফ্রি রেডিকেলের প্রতিক্রিয়া নিরপেক্ষ করে দিয়ে ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ দূর করতে সহায়তা করে।
সংক্ষেপে-
➡ ডাবের পানি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সহায়তা করে।
➡ রং স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে।
➡ কালো দাগ দূর করতে সহায়তা করে।
➡ ব্ল্যাক হেডস দূর করতে সহায়তা করে।
➡ বলি রেখা কমাতে সহায়তা করে।
➡ ডাবের পানি আর্দ্রতা বজায় রাখে এবং ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখে।
➡ কোলাজেন তৈরি করে।
গর্ভাবস্থায় ডাবের পানির উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় একজন নারীর অনেক কিছু প্রয়োজন হয় তাঁর নিজের ও সন্তানের জন্য। সে সময় ডাবের পানি সবকিছুর জন্য কাজ না করলেও কিছু কিছু বিষয়ে বেশ উপকারে দেবে।
রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে ডাবের পানিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে। এই ম্যাগনেসিয়াম ইনসুলিন এর কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। যার ফলে ডাবের পানি রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ডাবের পানি খুবই উপকারী।
ওজন নিয়ন্ত্রণে ডাবের পানির উপকারিতা
ওজন নিয়ন্ত্রণে ডাবের পানির অনেক উপকারিতা রয়েছে। ডাবের পানিতে আশঁ থাকার কারণে আমাদের হজম শক্তি বাড়ায়। ফলে ডাবের পানি আমাদের শরীরের মেদ কমাতে সাহায্য করে। যারা ওজন কমানোর জন্য নিয়মিত ব্যায়াম বা শরীরচর্চা করে থাকে তাদের জন্য ডাবের পানি অনেক উপকারী পানীয়।
কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি
কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে ডাবের পানি খুবই উপকারী। কারণ ডাবের পানিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে যেটি কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দেয়। এছাড়াও ডাবের পানি শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি গড়ে তোলে।
ডাবের পানি শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করে
শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে ডাবের পানি খুবই উপকারী। যেহেতু ডাবের পানি পান করলে শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর হয় তাই গরমেও ডাবের পানি পান করলে শরীর সুস্থ এবং সতেজ থাকে।
গর্ভাবস্থায় ডাবের পানি যা করতে পারে
➡ শরীরে পানির ভারসাম্য রক্ষা করতে পারে।
➡ পটাশিয়াম, সোডিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম থাকার কারণে মানুষের শরীরে ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য রক্ষা করতে পারে।
➡ ডাবের পানিতে পটাশিয়াম থাকে বলে উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
➡ ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম থাকে বলে ডাবের পানি ভ্রূণের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
➡ ডাবের পানি গ্যাস্ট্রিকের হাত থেকে কোনো কোনো গর্ভবতী নারীকে স্বস্তি দিতে পারে।
➡ ডাবে শর্করার পরিমাণ খুবই কম থাকে বলে এটি ওজন বাড়াতে দেয় না।
গরমে ডাবের পানির উপকারিতা
আমাদের দেশে গরমেই সাধারণত ডাবের পানি খাওয়া হয়। এর অনেক কারণ আছে। তবে বলে রাখা ভালো, ডাবের পানি শীতের দিনেও শরীরের যে উপকার করে গরমের দিনেও সেই একই উপকার করে। তাই গরমের দিনে খাবেন বলে তুলে না রেখে শীতের দিনেও কচি ডাবের পানি খাওয়া উচিত।
শরীরে পানির ভারসাম্য রক্ষা করতে পারে
পটাশিয়াম, সোডিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের উপস্থিতির কারণে শরীরে ইলেকট্রোলাইটে ভারসাম্য রক্ষা করতে পারে।
ডাবে আঁশ থাকে বলে হজমে সহায়তা করে
রোদের কারণে শরীরে তরলের ঘাটতি হয় এবং শরীর আর্দ্রতা হারায়। ডাবের পানি শরীরের তরল উপাদান ও আর্দ্রতা বজায় রাখে।
খালি পেটে ডাবের পানি খাওয়া কি উচিত
এর কোনো সঠিক উত্তর নেই। কারণ কোনো গবেষণাই প্রমাণ করতে পারেনি যে খালি পেটে ডাবের পানি খাওয়া ক্ষতিকর। আবার খালি পেটে ডাবের পানি খেলে যে উপকারের কথা বলা হয় তারও কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি এখনো। তবে বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, একটি নির্দিষ্ট সময়ে ডাবের পানি খাওয়া ভালো।
ডাবের পানির উপকারিতা
➡ডাবের পানির উপকারিতা অনেক। সংক্ষেপে বললে, ডাবের পানিতে।
➡ ক্যালসিয়াম থাকে। ফলে এটি প্রাকৃতিক ভাবে ক্যালসিয়াম জোগান দেয় শরীরে।
➡ শরীর থেকে ক্ষতিকর উপাদান বের করে।
➡ ডাবে থাকা আঁশ মানুষের শরীরের বিপাক প্রক্রিয়া উন্নত করে।
➡ এর পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম কিডনির কর্মক্ষমতা বাড়ায়।
➡ পানির ঘাটতি দূর করে।
➡ ডাবের পানিয় চর্বির পরিমাণ খুব কম থাকায় ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
➡ পানিশূন্যতা দূর করে।
➡ যে কোনো কোমল পানীর থেকে ডাবের পানিতে অনেক কম ক্যালরি ও চিনি থাকে।
➡ শরীরে পানির ভারসাম্য রক্ষা করতে পারে।
➡ পটাশিয়াম, সোডিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম থাকার কারণে মানুষের শরীরে ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য রক্ষা করতে পারে।
➡ ডাবের পানিতে আঁশ থাকে বলে হজমে সহায়তা করে।
➡ রোদের কারণে শরীরে তরলের ঘাটতি হয় এবং শরীর আর্দ্রতা হারায়। ডাবের পানি শরীরের তরল উপাদান ও আর্দ্রতা বজায় রাখে।
➡ ক্যালসিয়াম থাকে। ফলে এটি প্রাকৃতিক ভাবে ক্যালসিয়াম জোগান দেয় শরীরে।
➡ শরীর থেকে ক্ষতিকর উপাদান বের করে।
➡ ডাবে থাকা আঁশ মানুষের শরীরের বিপাক প্রক্রিয়া উন্নত করে।
➡ এর পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম কিডনির কর্মক্ষমতা বাড়ায়।
➡ পানির ঘাটতি দূর করে।
➡ ডাবের পানিয় চর্বির পরিমাণ খুব কম থাকায় ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
➡ পানিশূন্যতা দূর করে।
➡ যে কোনো কোমল পানীর থেকে ডাবের পানিতে অনেক কম ক্যালরি ও চিনি থাকে।
➡ শরীরে পানির ভারসাম্য রক্ষা করতে পারে।
➡ পটাশিয়াম, সোডিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম থাকার কারণে মানুষের শরীরে ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য রক্ষা করতে পারে।
➡ ডাবের পানিতে আঁশ থাকে বলে হজমে সহায়তা করে।
➡ রোদের কারণে শরীরে তরলের ঘাটতি হয় এবং শরীর আর্দ্রতা হারায়। ডাবের পানি শরীরের তরল উপাদান ও আর্দ্রতা বজায় রাখে।
ডাবের পানির অপকারিতা
- প্রতিটি জিনিসের ভালো ও মন্দ দুটি দিকই থাকে। ডাবের পানিরও সেটা আছে। এর কিছু অপকারিতার কথা জেনে নেওয়া যাক।
- নিয়ম করে ডাবের পানি খেতে হবে। উপকার করে বলে অপ্রয়োজনেও এটি খাওয়া যাবে না। তাতে বরং ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
- অতিরিক্ত ডাবের পানি পান করলে কারও কারও ডায়রিয়া হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
- ডাবের পানিতে পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম থাকে। এ উপাদানগুলো শরীরে উচ্চ রক্তচাপ, ইলেকট্রোলাইট, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। কিন্তু শরীরে
- এগুলোর কোনোটার পরিমাণ বেড়ে গেলে উচ্চ রক্তচাপ, ইলেকট্রোলাইট, ডায়াবেটিস ইত্যাদির ভারসাম্য বজায় নাও থাকতে পারে। আবার এটি রক্তচাপ কমিয়েও দিতে পারে। এ সবকিছুই স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করবে।
- বলা হয়ে থাকে, কিডনি সুস্থ রাখতে ডাবের পানি পান করা ভালো। কিন্তু কিডনি রোগীদের জন্য ডাবের পানি ক্ষতির কারণও হয়। কাজেই যাদের যেকোনো পর্যায়ের কিডনি রোগ আছে তাঁরা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ডাবের পানি পান করবেন।
- কোনো কোনো অ্যালার্জির রোগী ডাবের পানি পানে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে পারেন। কাজেই যাদের অ্যালার্জি আছে তারা চিকিৎসকের পরামর্শে ডাবের পানি পান করবেন।
- ঠান্ডার রোগ আছে বা সর্দির রোগীদের বুঝে শুনে ডাবের পানি পান করা উচিত। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
ডাবের পানি খাওয়ার নিয়ম
➡ ডাবের পানি খাওয়ার নির্দিষ্ট কোনো নিয়ম নেই। তবে কিছু বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে।
➡ কচি ডাবের পানি খেতে হবে। ডাব যত বয়স্ক হবে তত তার পানিতে চিনির পরিমাণ বাড়তে থাকবে। সেটা আপনার ক্ষতিই করবে।
➡ কচি ডাবের পানি খেতে হবে। ডাব যত বয়স্ক হবে তত তার পানিতে চিনির পরিমাণ বাড়তে থাকবে। সেটা আপনার ক্ষতিই করবে।
➡ ডাব কাটার সাথে সাথে পানি খেয়ে নিতে হবে।
➡ যে কোনো সময় ডাবের পানি খাওয়া যায়। তবে খুব রোদ থেকে এসে সঙ্গে সঙ্গে ডাবের পানি না খাওয়াই ভালো। রোদ থেকে এসে একটু জিরিয়ে তারপর খাওয়া ভালো।
➡ ডাবের পানিতে অন্য কিছু যেমন চিনি, লবণ, গুড় ইত্যাদি মেশানো যাবে না।
➡ যে কোনো সময় ডাবের পানি খাওয়া যায়। তবে খুব রোদ থেকে এসে সঙ্গে সঙ্গে ডাবের পানি না খাওয়াই ভালো। রোদ থেকে এসে একটু জিরিয়ে তারপর খাওয়া ভালো।
➡ ডাবের পানিতে অন্য কিছু যেমন চিনি, লবণ, গুড় ইত্যাদি মেশানো যাবে না।
ডাবের পানির উপাদান
পানি — ৯৫ শতাংশ
ক্যালসিয়াম— ০.৬৯ শতাংশ
পটাশিয়াম— ০.২৫ শতাংশ
ফসফরিক অ্যাসিড— ০.৫৬ শতাংশ
ম্যাগনেশিয়াম অক্সাইড— ০.৫৯ শতাংশ
নাইট্রোজেন— ০.০৫ শতাংশ
গ্রাম/প্রতি ১০০ গ্রামে আছে
লৌহ— ০.৫ গ্রাম
চিনি— ০.৮০ গ্রাম
আঁশ— ০.৬২ গ্রাম
প্রোটিন— ০.৭২ গ্রাম
চর্বি— ০.২০ গ্রাম
এছাড়া আরও বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও খনিজ আছে ডাবের পানিতে।
ডাবের পানি পানে সতর্কতা
ডাবের পানির উপকারিতা বলে শেষ করা যায় না। তবে ডাবের পানিতে পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি থাকে। ফলে কিডনি রোগীদের জন্য ডাবের পানি ক্ষতির কারণ হতে পারে। ঠান্ডা ও সর্দির রোগী, অ্যালার্জির রোগীদেরও ডাবের পানি পানে সতর্ক থাকতে হবে।
শেষ কথা
পরিশেষে বলা যায় যে, কোনো কিছু থেকে প্রাকৃতিকভাবে উপকার পেতে হলে তা দীর্ঘদিন খেতে হয় বা ব্যবহার করতে হয়। হঠাৎ করে ১-২ দিন ব্যবহার করে ভালো উপকার পাওয়া যায় না। তাই ডাবের পানি পান করে উপকার পেতে চাইলে নিয়মিত পান করতে হবে। খুব বেশি পানের দরকার নেই। পরিমাণ মতো নিয়মিত ডাবের পানি পান করলে তবেই উপকার পাবেন। এই পোস্টটি আপনার কাছে ভাল লেগে থাকলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন এবং কোন মতামত থাকলে কমেন্ট বক্সে জানাবেন। ধন্যবাদ।
Wow so nice
ধন্যবাদ
Beautiful post